আদমদীঘিতে মোবাইল চুরির অভিযোগে প্রতিবন্ধী যুবককে নির্যাতন

  আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ

প্রকাশ: ২১ মে ২০২১, ২০:০৪ |  আপডেট  : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:০৬

বগুড়ার আদমদীঘিতে মোবাইল চুরির অপবাদে সুরুজ (৩৫) নামের এক প্রতিবন্ধি যুবককে নির্মম ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ মিলেছে। গ্রামবাসী নির্যাতিত যুবককে স্থানীয় এক চিকিৎলয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু সু-চিকিৎসা না মেলায় সে বর্তমানে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। নির্যাতিত যুবক ওই গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দীনের ছেলে। প্রায় এক সপ্তাহ পুর্বে ঘটা ঘটনাটি নির্যাতনকারী সিন্ডিকেট ধামাচাপা দিয়ে রাখতে গিয়েও ব্যার্থ হয়েছে। শুক্রবার ভাইরাল হয়ে গেছে ঘটনাটি। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

জানা গেছে, ঈদুল ফিতরের পরদিন সান্তাহার শহর সংলগ্ন কাশিমিলা গ্রামের শরেফুলের মার্কেটের দোকান থেকে একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। পরে ওই মোবাইল চুরির অভিযোগে ওই দিন রাতে একই গ্রামের প্রতিবন্ধি যুবক সুরুজকে ধরে মোবাইল মালিকের বাড়িতে নিয়ে যায়। তার হাত-পা বেঁধে মোবাইল ফোনের মালিক শরেফুলের ছেলে নাহিদ, ইউপি সদস্য মামুন এবং তাদের কয়েক সাঙ্গপাঙ্গ এক সাথে লাঠি দিয়ে সাপ পেটানোর মত নির্মম ভাবে পেটাতে থাকে। এতে করে সুরজের দুই নিতম্বসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এখনো ফোলা জখমের দাগ স্পষ্ট হয়ে আছে। সে সু-চিকিৎসা না পেয়ে নিজ বাড়িতে পড়ে পড়ে কাতড়াচ্ছে। গ্রামের লোকজন গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, তাঁরা ঘটনা জানার পর সুরজকে উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মোফাজ্জল হোসেন বাচ্চুর চিকিৎসালয়ে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু ঘটনাটি ওই গ্রামের নির্যাতনকারী সিন্ডিকেট ধামাচাপা দিয়ে রেখেছে। তারা অত্যন্ত প্রতাপশালী হবার কারণে ভয়ে নিশ্চুপ আছে গ্রামের সাধারণ মানুষ। এবিষযে মোবাইল ফোন মালিক শরেফুল বললেন আমি সুরজকে মারিনি, স্থানীয় মেম্বার একটু ভয়ভীতি দেখিয়েছে। নির্যাতনের শিকার প্রতিবন্ধি সুরজের চিকিৎসাকারী মোফাজ্জর হোসেন বাচ্চু জানান, সুরজকে অমানবিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। যা কোন মানুষের পক্ষে করা সম্ভব না। 

এবিষয়ে আদমদীঘি থানার ওসি জালাল উদ্দিন বললেন মোবাইল ফোন চুরি বিষয়ে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। কাউকে মারপিট করা হয়েছে তা আমার জানা নেই। বিষয়টি তদন্তপুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারমান গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, শনিবার বিয়য়টি নিয়ে বৈঠক করা হবে। সেখানে ঘটনার সত্য-মিথ্যা জানা যাবে। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত