আদমদীঘিতে তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন, নিরব প্রশাসন

  আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:১০ |  আপডেট  : ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:২৯

ভূমি আইন উপেক্ষা করে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদরের উজ্জলতা গ্রামের পূর্ব মাঠে তিন ফসলি আবাদী জমিতে এস্কেভেটর ভেকু মেশিন দিয়ে পুকুর খননের মহোৎসব চলছে। তিন ফসলি আবাদী জমিতে মাটি কেটে পুকুর খননের কারণে গিলে খাওয়া হচ্ছে শত শত বিঘা জমি। ফলে এক দিকে যেমন কৃষি জমি কমে ফসল উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। অপরদিকে সেইসব খনন করা জমির চার পাশের ফসলি জমির সরিষা, আলু আবাদ উৎপাদন মারাত্মক ক্ষতির সম্ভবনা দেখা দিচ্ছে। এক শ্রেণির অসাধু মাটি ব্যবসায়ীরা গ্রামের সহজ সরল মানুষকে পুকুর খননে উৎসাহিত করে এই পুকুর খননের কাজ দেদারছে করছে। পুকুর খননের কারণে এ উপজেলায় দিন দিন আবাদী কৃষি জমি আশংকাজনক হারে কমে যাচ্ছে। ফলে আগামীতে খাদ্য ঘাটতির আশংকা রয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে এলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। 

জানা যায়, চলতি বছরের আমন আবাদ শেষে উপজেলায় সকল কৃষকদের ফসলি মাঠ ফাঁকা পড়ে থাকে। যার ফলে কৃষকদের বুঝিয়ে জমি ও পুকুর খনন করতে শুরু করে মাটি ব্যবসায়ীরা। গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাটি উত্তোলন করতে দেখা যায়। কেউ কৌশলে রাতে, আবার কেউ ভোরবেলা মাটি খনন করছেন। আর পরিবহন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ফিটনেস বিহীন ট্রাক্টর। এছাড়া গায়ের জোড়ে অন্যের সরিষা ও আলু আবাদ নষ্ট করে মাটি বহন করছে। অপরদিকে পাকা সড়ক ও অন্যান্য ফসলি আবাদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে কৃষকরা নানা ক্ষতিগ্রস্ত সহ সড়কে চলাচল করা পথচারীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। সরজমিনে গত বুধবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উজ্জ্বলতা গ্রামের আফজাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি প্রায় আড়াই বিঘা ফসলি তিন ফসলি জমিতে মাটি খনন করে পুকুর তৈরি করছেন এবং রাতে মাটি উত্তোলন শেষে এস্কেভেটর ভেকু মেশিন জঙ্গলে আড়ালে লুকিয়ে রাখেন। আর সকালে লোকজনের কাছে মাটি বাণিজ্য করে মুনাফা লুফে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে দিনের পর দিন এমন কার্যক্রম দেখেও প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।এব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা সুলতানা জানান, সরজমিনে পরিদর্শন করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত