আদমদীঘিতে খতিয়ান পর্চা বিতরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ

প্রকাশ: ৯ মার্চ ২০২৫, ১৮:৫৫ | আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৫, ০৩:০২

ছুটির দিনে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের উথরাইল মৌজার আর.এস প্রিন্ট খতিয়ান (পর্চা) বিতরণে অতিরিক্ত টাকার নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার সরকারি ছুটির দিনে উপজেলার উথরাইল হাইস্কুল মাঠে খতিয়ান বিতরণ করা কালে এই অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে তৎক্ষনাত ওই দিন খতিয়ান বিতরণ বন্ধ করে দিয়ে আদমদীঘি উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে এসে পুনরায় বিতরণ করা শুরু করে।
সরজমিনে জানা যায়, আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের উথরাইল মৌজার আর.এস প্রিন্ট খতিয়ান বিতরণের সরকারি তারিখ নির্ধারণ করে ৬ মার্চ হইতে ২৪ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু ওই মৌজাধীন কয়েকটি গ্রামের ঢোল শহৎরত দেওয়া শনিবার দিন উথরাইল স্কুল মাঠে খতিয়ান বিতরণ করা হবে। তার প্রেক্ষিতে গ্রামের লোকজন শনিবার সকালে স্কুল মাঠে উপস্থিত হলে সেটেলমেন্ট অফিসের আব্দুস সামাদ ও নাছির উদ্দিন নামের দুই স্টাফ সরকারি ভাবে ১০০ টাকা নির্দেশনা থাকলেও প্রতিটি খতিয়ান বাবদ নেয় ১৫০ টাকা। এ নিয়ে সেটেলমেন্ট অফিসের স্টাফদের সাথে এলাকাবাসীর বাকবিতন্ডা শুরু হয়। তৎক্ষনাত খতিয়ান বিতরণ বন্ধ করে দিয়ে ওই দিনেই কৌশলে অফিসে এসে গোপন স্থানে পুনরায় খতিয়ান বিতরণ শুরু করে।
এ ঘটনায় খতিয়ান নিতে আসা উথরাইল গ্রামের ভুক্তভোগী ইসমাইল, আলাউদ্দিন সহ অনেকেই জানান, আমরা শুনেছি সরকারি ফি প্রতি খতিয়ান ১০০ টাকা কিন্তু এখানে খতিয়ান নিতে এসে দেখি ১৫০ টাকা করে নিচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে আদমদীঘি সেটেলমেন্ট অফিসের স্টাফ আব্দুস সামাদ ও নাছির উদ্দিনের সাথে কথা হলে তারা জানান, আমরা শনিবার দিন উৎরাইল স্কুল মাঠে খতিয়ান বিতরণ করতে গেলে কিছু লোক হট্টোগোল শুরু করে। তার আমরা সেখান থেকে অফিসে চলে আসি। অতিরিক্ত টাকা নেওয়া ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সামান্য কিছু খতিয়ান বিতরণ করেছি।
এব্যাপারে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদ সুলতানা জানান, আমি এ ধরনের কোন অভিযোগ এখনো পাইনি। অবিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় বগুড়া জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ চেষ্টা করেও যোগযোগ করা সম্ভব হয়নি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত