আওয়ামীলীগ ৭২ সালের চেতনার মাধ্যমে ৭১ সালের চেতনাকে হাইজ্যাক করেছিল: মামুনুল হক
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:৩৫ | আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩২
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এর মহাসচিব আল্লামা মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিল প্রতিশোধ ও আর বিভাজনের রাজনীতি। শেখ হাসিনার মত প্রতিশোধ পরায়ণ,বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি, একটা মানসিক রোগী, সাইকোপ্যাথকে বছরের পরবছর মানুষের কাধের উপর বসিয়ে দেশটাকে শোষন আর শাসন করারব্যবস্থার করেছেন। শুধু এই কারণে আওয়ামী লীগের সমস্ত নেতাকর্মীদেরবিচার হওয়া দরকার।রোববার সকালে নৈরাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পঞ্চগড় স্টেডিয়ামে এক গণসমাবেশে মামুনুল হক এসব কথা বলেন।বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি মীর মোর্শেদতুহিনের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসেরযুগ্ম মহাসচিব জালালুদ্দিন, সদস্য সচিব আবু সাইদ নোমান,বায়তুল মাল সম্পাদক ফজলুর রহমান, জামায়াতে ইসলামীর পঞ্চগড় জেলা শাখার আমীর ইকবাল হোসাইন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পঞ্চগড়জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক ক্বারী মো. আব্দুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে বিভিন্ন ইসলামীসংগঠনের নেতারাকর্মী ও বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষখ-শিক্ষার্থীরাউপস্থিত ছিলেন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে মামুনুল হক বলেন, আপায় নাকী সীমান্তেরকাছাকাছি কোথায় আছে। সুযোগ পেলেই নাকি চট করে ঢুকে পড়বে। আমাদের যুগ্ম মহাসচিব বলেছেন আসেন, এদেশের মানুষ আপনার তালাশ করছে। যারা পেছনের শক্তি, যারা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের স্বার্থের দিকে না তাকিয়ে, তাদের নিজেদের স্বার্থের দিকে তাকিয়ে শেখ হাসিনাকে যারা জোড়পূর্বক ক্ষমতার মসনদে আশিন রেখেছিল, তারা বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তিনি বলেন ভিনদেশী একটি রাস্ট্রের প্রেসক্রিপশন অনুযাযী, তাদের একটি চিরকুট সামনে রেখে জনমানুষের আকাঙ্খার বিরুদ্ধে ৭২ সালের সংবিধান বাংলাদেশের মানুষের কাধের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ৭২ সালের চেতনার মাধ্যমে ৭১ সালের চেতনাকে হাইজ্যাককরা হয়েছিল। এরপর ভিন দেশের সংবিধান দিয়ে বাংলাদেশকে শাসন করাহয়েছে। এই ফ্যাসিবাদী সরকার যতবার ক্ষমতায় এসেছে, তখনি আবারএদেশটাকে ইসলাম থেকে মাইনাস করার চেষ্টা করা হয়েছে।তিনি প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কাদিয়ানীদেরকে নিয়ন্ত্রণ করেন।তারা যেন সরলপ্রাণ কোন মুসলমানকে দারিদ্রের সুযোগ নিয়ে,দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে, কোন ঈমানদারের ঈমান হরণ করতে না পারে।ফ্যাসিবাদের আমলে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলার আগে পঞ্চগড়ে কাদিয়ানীদের দ্বাড়া দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা এক মাসের মধ্যেপ্রত্যাহার করতে হবে। একমাস সময় দিলাম। একমাস পর আমরা খবর নিব। যদি আমার ভাইদের রক্ষা করা না হয়, তাহলে আমাদের পরবর্তিপদক্ষেপ ঘোষনা করতে হবে। তিনি বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশের বাইরেউত্তেজিত না হতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের আহব্বান জানান। সমাবেশ শেষে তিনি ঠাকুরগাওয়ের গণসমাবেশের উদ্দেশ্যে পঞ্চগড় ছেড়ে যান।।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত