অভিনেতা সাদেক বাচ্চুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:১৬ | আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:৫০
আজ ১৪ সেপ্টেম্বর। ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় খল অভিনেতা সাদেক বাচ্চুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। করোনা আক্রান্ত হওয়াসহ শারীরিক নানা জটিলতায় গত বছরের আজকের এই দিনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সিনেমা ছাড়াও মঞ্চ, বেতার, টেলিভিশনেও অনেক নাটক করেছেন তিনি।
চলচ্চিত্রে সাদেক বাচ্চু হিসেবে পরিচিত মাহবুব আহমেদ ১৯৫৫ সালের ১ জানুয়ারি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ছিলেন ডাকঘরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তাঁর মৃত্যুর পর সাদেক বাচ্চুকে চাকরি দেওয়া হয়। পাঁচ বোন, তিন ভাই, বিধবা দাদি, বিধবা মাকে নিয়ে ছিল তাঁর বিশাল সংসার। সেই সংসারের দায়িত্ব তাঁকে বহন করতে হয়। ১৯৭০ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে চাকরিতে ঢোকেন। এরপর ২০১৩ সালে তিনি বাংলাদেশ ডাকঘরের চাকরি থেকে অবসর নেন।
নব্বইয়ের দশকে পরিচালক এহতেশামের ‘চাঁদনী’ সিনেমাতে অভিনয় করে পরিচিতি পান তিনি। ‘সাদেক বাচ্চু’ নামটি তিনি পান এহতেশামের কাছ থেকেই। তাঁর আসল নাম মাহবুব আহমেদ। ‘চাঁদনী’ সিনেমা থেকে তাঁর নাম বদলে যায়। বদলে যায় তাঁর খ্যাতির ধরনও। সাদেক বাচ্চু অভিনীত সিনেমার সংখ্যা পাঁচ শতাধিক।
বাংলা চলচ্চিত্রে তিনি খল বা নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয়ের জন্য খ্যাতি অর্জন করেন। জীবনে শেষ বছরগুলোয় অভিনয়ে অনিয়মিত ছিলেন তিনি। তাকে নতুন নাটক বা চলচ্চিত্রে কম দেখা যেত। এর আগে পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে মঞ্চ, বেতার, টেলিভিশন ও সিনেমায় ছিল তার পদচারণা।
রেডিও বা টেলিভিশনের আগে তিনি অভিনয় শুরু করেন মঞ্চে। ১৯৬৩ সালে খেলাঘরের মাধ্যমে রেডিওতে অভিনয় শুরু করেন সাদেক বাচ্চু। একই সঙ্গে মঞ্চেও বিচরণ করেন। প্রথম থিয়েটার ‘গণনাট্য পরিষদ।’ ১৯৭২-৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে যখন এদেশের সাংস্কৃতিক বলয় নতুনভাবে তৈরি হচ্ছিল, তখন যোগ দেন গ্রুপ থিয়েটারের সাথে। দীর্ঘ পথ পেরিয়ে ১৯৭৪ সালে প্রথম টেলিভিশন নাটকে অভিষিক্ত হন। ‘রামের সুমতি’র মাধ্যমে যাত্রা শুরুর পর বহু জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
বহুমাত্রিক এই অভিনেতার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে আছে- জোর করে ভালোবাসা হয় না (২০১৩), জজ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার (২০১৩), জীবন নদীর তীরে (২০১৩), তোমার মাঝে আমি (২০১৩), ঢাকা টু বোম্বে (২০১৩), ভালোবাসা জিন্দাবাদ (২০১৩), এক জবান (২০১০), আমার স্বপ্ন আমার সংসার (২০১০), মন বসে না পড়ার টেবিলে (২০০৯), বধূবরণ (২০০৮), ময়দান (২০০৭), আমার প্রাণের স্বামী (২০০৭), আনন্দ অশ্রু (১৯৯৭), প্রিয়জন (১৯৯৬), সুজন সখি (১৯৯৪)।
‘একটি সিনেমার গল্প’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে খল অভিনেতা হিসেবে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পান।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত