অবশেষে যুদ্ধ বন্ধে রাজি হলেন নেতানিয়াহু!
প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৯ | আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:৩৮
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় গত ১৫ মাস ধরে চলা সহিংসতার পর যুদ্ধবিরতি চুক্তি আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে কার্যকর হচ্ছে। যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যস্থতাকারী কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বলেছেন, ইসরায়েলের পার্লামেন্টে অনুমোদন পাওয়ার পর এই চুক্তি কার্যকর হবে।
এমন খবর প্রকাশ্যে আসার পর বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, হামাস সব শর্তে সম্মত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে ভোটাভুটির আয়োজন করবে না ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। দেশটি অভিযোগ করেছিল, হামাস শেষ মুহূর্তে চুক্তিতে কিছু নতুন বিষয় যুক্ত করতে চাইছে।
তবে শেষমেশ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) নেতানিয়াহু কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির অনুমোদন দিচ্ছে ইসরায়েল। এখন শিগগিরই যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় ভোটাভুটি হবে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এই চুক্তির ফলে গাজায় লড়াই বন্ধ হবে, ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক ত্রাণ সহায়তা বাড়বে এবং জিম্মিরা তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন ধাপের এই চুক্তি গাজায় যুদ্ধবিরতি, সেখান থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্তি অন্তর্ভুক্ত।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, হামাসের হাতে আটক ৩৩ জিম্মির মুক্তির পরিবর্তে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের অনেককে ছেড়ে দেওয়া হবে।
গাজার ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলি বাহিনী আরও পূর্ব দিকে সরে যাবে। এল ফলে বাস্তুচ্যূত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িতে ফিরতে পারবেন। এ ছাড়াও ত্রাণবাহি শত শত ট্রাক প্রতিদিন গাজায় প্রবেশের সুযোগ পাবে।
চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় স্থান পাবে বাকি জিম্মিদের মুক্তি এবং 'টেকসই শান্তির' জন্য ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি।
তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে আসবে গাজার পুনর্গঠন। এর জন্য অনকে বছর লেগে যেতে পারে। তবে হামাসের হাতে আর কেউ জিম্মি থাকলে তাদের মুক্তির বিষয়টিও আলোচনায় আসবে এই ধাপে।
শেখ মোহাম্মদ আল থানি বলেন, চুক্তির বিষয়গুলো চূড়ান্ত করার পর কয়েকদিনের মধ্যেই এটি সবিস্তারে জানানো হবে।
তিনি আরও জানান, কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসর এই চুক্তি করার বিষয়ে সহায়তা করেছে এবং তারা ইসরায়েল ও হামাস যেন চুক্তির সব শর্ত মেনে চলে সেজন্যও তারা সচেষ্ট থাকবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত