শিক্ষকের মর্যাদা বনাম অধ্যক্ষের খিস্তিখেউড়

  মহিউদ্দিন খান মোহন

প্রকাশ: ১ আগস্ট ২০২১, ১১:৪৫ |  আপডেট  : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৬

শিক্ষকদের বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর। সে গ্রামের পাঠশালা হোক বা স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হোক, শিক্ষক মানেই শিক্ষাগুরু। তিনি ছাত্রদের গড়েপিটে মানুষ করেন। সাধারণত বাবা-মায়ের পরেই শ্রদ্ধার মানুষ শিক্ষকগণ। বাবা-মা সন্তানের জন্ম দেন। আর একজন শিক্ষক সে শিশুটিকে জ্ঞানের সন্ধান দেন। মহাবীর আলেকজান্ডার তার শিক্ষক দার্শনিক এরিস্টটল সম্বন্ধে যে উক্তিটি করে গেছেন তা আজও শিক্ষকের মর্যাদার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তিনি বলেছিলেন, ‘টু মাই ফাদার, আই ও মাই লাইফ, টু এরিস্টটল, হাউ টু লিভ ওয়ার্থলী’। মানে- আমি আমার জন্মের জন্য আমার পিতার কাছে ঋণী, আর কীভাবে সে জন্মকে সার্থক করে বেঁচে থাকতে হয় সে শিক্ষার জন্য আমি এরিস্টটলের কাছে ঋণী। আলেকজান্ডারের এ উক্তি থেকে একজন শিক্ষার্থীর জীবনে তার শিক্ষাগুরুর গুরুত্ব অনুধাবন করা যায়। আগেকার রাজা-বাদশাহরা তাদের সন্তানদের শিক্ষা গ্রহণের জন্য গুরুগৃহে পাঠাতেন। একটি নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত তারা শিক্ষাগুরুর কাছে থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি আদব-লেহাজ, ন্যায়-অন্যায়, ধর্ম-অধর্ম, নীতিজ্ঞান সম্পর্কে শিক্ষা নিত। শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয়, শিক্ষাগুরুর জীবন যাপনকে কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করে তাকে অনুসরণের মাধ্যমে নিজেকে একজন পরিশুদ্ধ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার শিক্ষাও পেত । আর এজন্য শিক্ষাগুরুকে যাপন করতে হতো অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত জীবন। নিজের কোনো কথাবার্তা, আচার-আচরণ যাতে শিক্ষার্থীকে বিভ্রান্ত বা বিপথগামী না করতে পারে, শিক্ষাগুরু সে বিষয়ে অতিশয় যত্নবান থাকতেন। 

শিক্ষক শব্দটি উচ্চারণের সাথে সাথে একজন ভদ্র, রুচিবান এবং দায়িত্বশীল মানুষের ছবি মানসপটে ভেসে ওঠে। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষক তার ব্যক্তিগত কাজকর্মের দ্বারাও শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে করে থাকেন। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের দেখানো পথেই হাঁটবে, নিজেদের গড়ে তুলবে এটাই প্রচলিত ধারণা। ছাত্রজীবনে আমরা দেখেছি শিক্ষকরা আমাদের সামনে সংযত হয়ে কথাবার্তা বলতেন,  আচরণ করতেন। তারা ছাত্রদের সামনে ধূমপান পর্যন্ত করতেন না, পাছে তাকে দেখে ছাত্ররাও ধূমপানে আকৃষ্ট হয়- এ আশঙ্কায়। আর সেজন্যই আমরা যারা কৈশোর-যৌবন পেরিয়ে প্রবীণ হতে চলেছি, এখনও সেসব শিক্ষকদের নাম উচ্চারণ করলে শ্রদ্ধায় মাথা নত করি। 

সময় এখন বদলেছে। সামাজিক রীতিনীতির পরিবর্তনের সাথে অনেক কিছুই পরিবর্তিত হয়েছে। আগে আমরা শিক্ষকদের যেভাবে যে পরিমানে শ্রদ্ধা-ভক্তি করতাম, এখনকার ছেলেমেয়েরা তা অনেকটাই করে না। শিক্ষকরা অগের মতো শ্রদ্ধার আসনে নেই। কেন যেন তাদের সে আসনটি টলে গেছে। তাহলে কি শিক্ষকগণ তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের সঠিক শিক্ষা দিতে পারছেন না? অনেকেই মনে করেন, শিক্ষকদের এই মর্যাদা হ্রাসের জন্য তারা নিজেরাই দায়ী। সবাই নয়, কিছু সংখ্যক  শিক্ষকদের মধ্যে নৈতিকতার যে ধস নেমেছে, সে কারণে শ্রদ্ধার আসনটি নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। 

আগেই বলেছি শ্রেণিকক্ষের বাইরে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের শিক্ষা শিক্ষার্থীরা পেয়ে থাকে শিক্ষকদের ব্যক্তিগত আচরণ থেকে। অবশ্য চীনা দার্শনিক কনফুসিয়াসের মতে মানুষের সবচেয়ে বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তার পরিবার। হ্যাঁ, একজন মানুষের আক্ষরিক অর্থে মানুষ হয়ে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে তার পারিবারিক পরিবেশের বিরাট প্রভাব রয়েছে এটা অস্বীকার করা যাবে না। যে পরিবারে নৈতিক মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেওয়া হয়, পরিবার প্রধানরা সব ধরনের অনৈতিকতা থেকে দূরে থাকেন, সে পরিবারের সন্তানরা কখনো বিপথে যেতে পারে না। আর যেসব অভিভাবক অনৈতিক পথে ধাবিত হন, সন্তানেরাও তাদেরই অনুগামী হয়।

গত ২৭ জুলাই দেশের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নুন স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও একজন অভিভাবকের টেলিফোন কথোপকথনের যে বিবরণ দৈনিক পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে, তা পাঠ করে বিস্ময়ে বিমূঢ় হননি এমন কেউ নেই বোধহয়। একজন শিক্ষক, যিনি একটি বৃহৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্ণধার, তার মুখে অমন খিস্তিখেউড় এবং সন্ত্রাসী স্টাইলে হুমকি উচ্চারিত হতে পারে, তা ছিল সবার ধারণার বাইরে। স্কুলটির শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ফোরামের উপদেষ্টা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর সাথে ৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের কথোপকথনের যে অডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, তা শুনে মনে হয়নি তিনি একটি শিক্ষালয়ের প্রধান। বরং মনে হওয়াটা স্বাভাবিক যে, তিনি কোনো সন্ত্রাসী গ্রুপের গডমাদার। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী এবং সর্বোচ্চ সরকারি চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কেউ অমন অশ্লীল-অশ্রাব্য বাক্য মুখ দিয়ে উদগীরণ করতে পারেন, তা অবিশ্বাস্য। কিন্তু আমাদের কাছে যা অবিশ্বাস্য অনেক সময় তা-ই ঘটে। 

ভিকারুননিসা নুন স্কুলের প্রিন্সিপাল মহোদয়ার যে রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে, সেটা তিনি নিজেই মীর সাহাবুদ্দিন টিপুকে বলেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা বেগমকে তার জোরের খুঁটি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বেশ জোরের সাথেই বলেছেন, তিনি ভ্যনিটিব্যাগে পিস্তল নিয়ে রাস্তায় হাঁটা এবং গুলি চালানো মানুষ। এখনও বালিশের নিচে পিস্তল নিয়ে ঘুমান। সুতরাং তার পেছনে কেউ লাগলে তিনিও তাকে ছেড়ে দেবেন না। তাকে শুধু ভিকারুননিসা নয়, দেশ ছাড়া করবেন। মীর সাহাবুদ্দিনকে প্রিন্সিপাল কামরুন নাহার মুকুল এটাও জানান যে, মন্ত্রী (সম্ভবত শিক্ষামন্ত্রী) তাকে খুব পছন্দ করেন এবং সচিব সাহেবের সঙ্গেও তার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। 

এ বিষয়ে ওইদিন সমকালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধানমন্ডিতে স্কুলের একটি বাড়ি কেনা, প্রথম শ্রেণিতে ছাত্রী ভর্তি এবং প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজ সংক্রান্ত বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছেন অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুল। পত্রিকাটি লিখেছে, কামরুন নাহার মুকুল শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রেষণে ভিকারুননিসায় কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি মিরপুরের দুয়ারীপাড়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি পত্রিকাটিকে বলেছেন, ধানমন্ডিতে ৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ভবন কেনার মাধ্যমে কতিপয় ব্যক্তির কমিশন খাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কারণে ওই মহলটি তাকে টার্গেট করেছে।

২৮ জুলাইয়ের পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ঘটনার তদন্তের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে এবং আগমী তিন কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। সঠিক তদন্ত হলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। তখন বোঝা যাবে কোন পক্ষ দোষী- অধ্যক্ষ, না পরিচালনা পর্ষদের কর্মকর্তারা? তবে এ মুহূর্তে বিবেচ্য হলো তার উগ্র মানসিকতা ও ভাষার ব্যবহার। এটা অনুমান করা যায় যে, সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি হয়তো বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। এখনও সে কানেকশন রয়েছে। আর সে কারণেই মিরপুরের একটি অখ্যাত কলেজ থেকে ডেপুটেশনে দেশের সবচেয়ে নামী ও ঐতিহ্যবাহী নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির প্রধানের চেয়ারে উপবেশন করতে পেরেছেন। এটা অবশ্য অস্বাভাবিক কোনো ব্যাপার নয়। সব সরকারের আমলেই ক্ষমতাসীন দলের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা আলাদা সুবিধা ভোগ করে থাকেন। তো কামরুন নাহার মুকুল যেহেতু যুব মহিলা লীগের সভাপতির খুব কাছের মানুষ এবং খোদ শিক্ষামন্ত্রীর আস্থাভাজন, তাই তার এ প্রাইজ পোস্টিংয়ে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায়নি। তবে কথা হলো তার আচরণ নিয়ে। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের সাথে ব্যবস্থাপনা কমিটির নানা বিষয়ে মতভেদ হতেই পারে। তা সমাধানের অনেক পথও রয়েছে। কেউ যদি হুমকি দেয় সেজন্য আইনের আশ্রয় নেওয়ার পথ আছে। তা না করে টেলিফোন-আলাপে পিস্তলের ভয় দেখানো কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এটাতো তার জানার কথা যে, কাউকে আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখানো আইনতঃ দন্ডনীয় অপরাধ; যা একজন শিক্ষকের কাছ থেকে মোটেও কাক্সিক্ষত নয়। তবে এজন্য তাকে কোনো জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে এমনটি আশা না করাই ভালো।
অতীতে ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজে অনেক প্রিন্সিপাল ছিলেন। তাদের কেউ কেউ যে পরিচালনা পর্ষদ বা সরকারের প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে বিরোধে জড়াননি বা রোষানলে পড়েননি এমন নয়। তেমনি একজন ছিলেন অধ্যক্ষ হামিদা আলী। দীর্ঘদিন সুনামের সাথে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি তিনি পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু এক সময়  প্রভাবশালী মহলের বিরাগভাজন হওয়ার পর সসম্মানে সেখান থেকে বিদায় নিয়েছেন। কোনো রকম সংঘাতে জড়ান নি। তবে, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা এবং মান উন্নয়নে অবদানের জন্য তিনি আদর্শ অধ্যক্ষের মডেল হয়ে আছেন। আরেকজন ছিলেন অধ্যক্ষ হোসনে আরা শাহেদ। একাধারে শিক্ষাবিদ, লেখক ও কলামিষ্ট। রাজধানীর অন্যতম ঐতিহ্যবাহী নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ছিলেন দীর্ঘকাল। তিনি শুধু শিক্ষকতাই করেন নি, পাশাপাশি নানা বিষয়ে জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকাসমূহে নিয়মিত কলাম লিখতেন। তার অনেকগুলো বই রয়েছে, যেগুলো পাঠকপ্রিয়তা এবং সুধীমহলের প্রশংসা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। দীর্ঘ কর্মজীবনে তাকে নিয়ে কোনো নেতিবাচক খবর শোনা যায়নি। এমন আরো অনেক নারী শিক্ষাবিদ রয়েছেন যাদের নাম এখনো শ্রদ্ধার সাথে উচ্চারিত হয়। সবার কথা এখানে উল্লেখ করা সম্ভব নয়। তারা স্ব স্ব যোগ্যতা বলেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি বা পোস্টিং পেয়েছেন এবং নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। কোনো রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চেয়ারে বসেন নি। ক্ষমতার দম্ভে তারা ধরাকে সরা জ্ঞান করেন নি। যার ফলে তারা আজও নমস্য হয়ে আছেন। 

সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ-পদায়নে যোগ্যতার চেয়ে রাজনৈতিক আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তারা ভালো কাজ করবেন আশা করেই সরকার হয়তো তাদেরকে নিয়োগ দেয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই ফলাফল হয় ভিন্ন। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের কযেকজন ভাইস-চ্যান্সেলরের সাম্প্রতিক ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ড জনমনে প্রশ্ন তুলেছে। কেউ চাকরির মেয়াদের শেষদিনে পছন্দের ছেলেদের পাইকারি হারে চাকরি দিয়ে ঝামেলা বাঁধিয়েছেন, কেউ দিনের পর দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পসে না গিয়ে বেতন ভাতা, আপ্যায়ন বিল নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। বেশ কয়েকজন ভিসির  অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের নামতে হয়েছে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন, ধর্মঘটসহ সর্বাত্মক আন্দোলনে। দলীয় আনুগত্য প্রদর্শন করতে গিয়ে এদের কেউ কেউ এমন সব কান্ডজ্ঞানহীন কথাবার্তা বলেন বা কাজ করেন, বিবেকবান মানুষেরা তাতে লজ্জায় অধোবদন হন। রাজধানীর একটি ঐতিহ্যবাহী কলেজ, যেটি নব্বইয়ের দশকে বিশ্বাবিদ্যালয়ে রুপান্তরিত হয়েছে, সে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভিসি যখন প্রকাশ্যে বলেন, যুবলীগের চেয়ারম্যানের পদ পেলে তিনি ভিসির পদ ছেড়ে দেবেন, তখন তা পুরো শিক্ষক সমাজের জন্য তা লজ্জার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য সচেতন ব্যক্তিরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক আনুগত্যের চেয়ে মেধা ও যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। 

ভিকারুননিসা নুন কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুল কথা বলার সময় সম্ভবত মাত্রাজ্ঞান হারিয়েছিলেন, শিক্ষকের মর্যাদার বিষয়টি বিস্মৃত হয়েছিলেন। অধ্যক্ষের চেয়ারে বসা একজন ব্যক্তির কাছ থেকে বস্তির অশিক্ষিত মহিলাদের ভাষা কেউ আশা করে না। সবচেয়ে বড় কথা, এ ধরনের দু’চারজন মানুষের জন্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, পড়তে হয় বিব্রতকর অবস্থায়। সমস্যাটা সেখানেই।

লেখক: সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত