শনিবার ভিডিও কনফারেন্সে চা–শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২২, ১৬:১৪ | আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী শনিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় থাকা চা–শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলবেন। শনিবার বিকেল চারটায় প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এ কনফারেন্স করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস আজ মঙ্গলবার এ সভা অনুষ্ঠানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত শনিবার চা-বাগানের মালিকদের সঙ্গে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকে শ্রমিকদের ন্যূনতম দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এ ঘোষণার ফলে দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা চা–শ্রমিকদের আন্দোলনের অবসান হয়। পরদিন থেকে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেন।
এম এম ইমরুল কায়েস আজ বলেন, ‘শনিবার সম্ভবত বিকেল চারটায় প্রধানমন্ত্রী চা–শ্রমিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করবেন। চা–শ্রমিকেরা কয়েকটি জায়গা থেকে এতে যুক্ত হবেন। কত জায়গা থেকে তাঁরা যুক্ত হবেন, এটি এখনো ঠিক হয়নি।’
এর আগে চা–বাগানের মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বাগানমালিক এম শাহ আলমের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস সাংবাদিকদের কাছে সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরেন। মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণের আগে ১২০ টাকা মজুরিতে কাজ করেছিলেন চা–শ্রমিকেরা।
সে হিসাবে গত শনিবারের সভার পর শ্রমিকের দৈনিক মজুরি বাড়ে ৫০ টাকা। এর সঙ্গে প্লাকিং বোনাস (বাড়তি পাতা তোলার জন্য অর্থ), উৎসব ভাতা, ভবিষ্য তহবিলসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আনুপাতিক হারে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। শ্রমিকদের বার্ষিক ছুটি ও অসুস্থতাজনিত ছুটিও বাড়বে বলেও সিদ্ধান্ত হয় সভায়।
আহমদ কায়কাউস বলেন, চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মজুরি নির্ধারণের পাশাপাশি বার্ষিক ছুটি, বেতনসহ উৎসব ছুটি আনুপাতিক হারে বাড়বে। অসুস্থতাজনিত ছুটি বাড়ানো হবে। চিকিৎসাসংক্রান্ত ব্যয়ের চাঁদা মালিকপক্ষ বহন করবে। ভবিষ্য তহবিলে নিয়োগকর্তার চাঁদা আনুপাতিক হারে বাড়বে।
প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ চা–শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত