লকডাউনের খবরে ঢাকা ছাড়ছেন মানুষ
প্রকাশ: ৪ এপ্রিল ২০২১, ০৮:৩০ | আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৩৬
করোনা পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতি হওয়ায় আগামী সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারা দেশে লকডাউন দিচ্ছে সরকার। শনিবার সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, মহামারি সামাল দিতে আবারও ‘লকডাউনের’ ঘোষণা আসছে। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী সোমবার থেকে সারা দেশে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
ওবায়দুল কাদেরের এ ঘোষণার পরই রাজধানী ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন মানুষ। বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন ও লঞ্চ টার্মিনালে টিকিট কিনতে ভিড় জমিয়েছেন তারা। অনেকে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে ইতোমধ্যে রওনাও দিয়েছেন। তবে গণপরিবহণে অর্ধেক যাত্রী বহনের নির্দেশনা থাকায় অনেক যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েছেন।
রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, গাবতলী বাস টার্মিনালসহ ঢাকার বিভিন্ন বাস কাউন্টারে দেখা গেছে যাত্রীদের ব্যাপক ভিড়। যাত্রীদের চাপে হিমশিম খাচ্ছেন সেখানকার বাস কাউন্টারের দায়িত্বরতরা।
সায়েদাবাদের হানিফ ও শ্যামলী কাউন্টারের দায়িত্বরতরা বলেন, লকডাউনের খবর শুনেই শনিবার দুপুর থেকে যাত্রীরা ফোন দিয়ে টিকিট বুকিং নেওয়া শুরু করেছেন। যাত্রীদের ফোনের চাপে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। ইতোমধ্যেই রোববার রাত পর্যন্ত সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। কাউন্টারের ব্যবস্থাপকদের ভাষ্য, তারা ঈদের ছুটিতেও এত চাপে পড়েন না, লকডাউনের খবরে যাত্রীদের যতটা চাপ সামলাতে হচ্ছে তাদের।
একই অবস্থা মহাখালী বাস টার্মিনালেও। সেখানকার কয়েকটি কাউন্টারের টিকিট বিক্রির দায়িত্বরতরা বলেন, হঠাৎ করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় বাস অর্ধেক আসনে যাত্রী বহনের নির্দেশনা রয়েছে। এ কারণে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে অনেক। এখন লকডাউন ঘোষণায় যাত্রীদের চাপ আরও বেড়েছে। আগামীকালও (রোববার) যাত্রীর চাপ অনেক বেশি বাড়তে পারে।
লঞ্চঘাটেও একই অবস্থা। বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক জানান, লকডাউনের কারণে সোমবার সকাল ৬টা থেকে সারা দেশের সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান বন্ধ থাকবে। তবে মালবাহী জাহাজ চলাচল করবে।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লকডাউনের খবর শুনেই টার্মিনালে যাত্রীরা ভিড় জমিয়েছেন। বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে যাওয়া এসব যাত্রীদের চাপ সামলানো দায় হয়ে পড়েছে।
লকডাউনের খবরে রেল স্টেশন, বিমানবন্দরেও একই অবস্থা। হঠাৎ করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি কারণে গত চার দিন ধরে ১০৪টি আন্তঃনগর ট্রেনসহ সক যাত্রীবাহী ট্রেনে ৫০ শতাংশ যাত্রী চলাচল করছে। কাউন্টার ও অনলাইনে ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হচ্ছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত