রাকসু নির্বাচনে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনার দাবি ছাত্রদলের

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩০ | আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:৩৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনাসহ ১২ দফা দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল আবির-জীবন এষা পরিষদ এবং ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্র ফেডারেশন মনোনীত প্যানেল রাকসু ফর র্যাডিক্যাল চেইঞ্জ।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট সংলগ্ন আমতলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় তারা।
এ সময় ২টি প্যানেলের ভিপি জিএস এজিএসসহ অন্যান্য পদের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
তাদের দাবিগুলো হচ্ছে-স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের ব্যবস্থা করতে হবে। ভোট গ্রহণের শুরুতে সাংবাদিক এবং প্রার্থীর এজেন্টদের সামনে ব্যালট বাক্স উন্মোচন করতে হবে; ভোটারদের আঙ্গুলে উচ্চমানসম্পন্ন অমোচনীয় কালির ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে কালি মুছে না যায়; এক দিনের মধ্যে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে; ভোট গণনার স্বচ্ছতার জন্য ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করতে হবে; প্রার্থীদের নির্বাচনী খরচ নির্দিষ্ট করতে হবে; সব প্যানেল বা প্রার্থীর পোস্টারের সংখ্যা নির্দিষ্ট করতে হবে; নির্বাচনী ব্যালট ছাপানো, বাঁধানো, নাম্বারিং করা পর্যন্ত এজেন্টের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
দাবিগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে–পর্যাপ্ত সংখ্যক বুথের ব্যবস্থা করতে হবে; ডিজিটাল বোর্ডে ভোটার নাম্বারসহ প্রকাশনা চলমান রাখতে হবে; সাইবার বুলিং সেল কার্যকর করতে হবে। এর প্রয়োগ পদ্ধতি কীভাবে হবে তার একটা রূপরেখা দিতে হবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক সব গ্রুপ ও পেজকে নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ এই গ্রুপ ও পেজ থেকে সাইবার বুলিং, স্লাটশেমিংসহ নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তা, প্রার্থীদের নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়। যা দণ্ডনীয় অপরাধ। বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ ২৪ স্পষ্টত এ ধরনের গর্হিত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে; ভোটের দিন ভোটারদের ব্যালট লিস্ট ধরিয়ে দেওয়া যাবে না।
নির্বাচনে আশঙ্কার কথা তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচন কমিশনের দুর্বলতাও প্রকাশ পেয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এই দুর্বলতা আমাদের অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্যানেলদের মধ্য থেকে প্রশ্ন উঠেছে। ছাত্র শিবির কোনও রকম আচরণ বিধির তোয়াক্কা করছে না। তারা হলে হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতর বিলি, পানির ট্যাংক বসানো, খিচুড়ি পার্টি, মুড়ি পার্টিসহ শিক্ষার্থীদের নানা উপঢৌকনের মাধ্যমে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা আরও বলেন, আমরা দেখছি টাকা যার ভোট তার নীতির প্রবর্তন হচ্ছে। এটা সুস্পষ্ট আচরণ বিধির লঙ্ঘন। আমরা আমাদের জায়গা থেকে বহুবার অভিযোগ দিলেও তারা কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এভাবে চলতে থাকলে রাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজন সম্ভব হবে না। ইতিমধ্যে আমরা লক্ষ করেছি হলে ব্যালট নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে ছাত্র শিবিরকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়েছে যা সম্পূর্ণ পক্ষপাতমূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ।
কা/আ
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত