মাদারীপুরে জামায়েত নেতার ভিডিও বক্তব্য ভাইরাল : শহরে তোলপাড়

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫২ | আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৩৭

ইসলামী ব্যাংকের মাদারীপুর শাখায় প্রবেশ করে ‘অবৈধ’ কর্মকর্তাদের টেনেহিঁচড়ে ব্যাংক থেকে বের করে দেওয়ার হুমকির একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শহরজুরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সর্বত্রই এখন এ আলোচনা সকলের মুখে মুখে।
হুমকি দেওয়া ওই নেতা জামায়াতে ইসলামীর মাদারীপুর পৌর শাখার নায়েবে আমির নাম আব্দুর রহিম। এ ছাড়া তিনি পুরান বাজারের ডিএম টেইলার্সের মালিক।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, জামায়েত নেতা আবদুর রহিম দলবল নিযে নিয়ে পুরান বাজার ইসলামী ব্যাংকের শাখায় প্রবেশ করেন। পরে তিনি ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের কক্ষে প্রবেশ করেন। পরে ব্যবস্থাপক ও কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন , কাল থেকে যেন তারা (এস আলমের সময়কালে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা) ব্যাংকে না আসে। এস আলমের কোনো লোক এই ব্যাংকে থাকতে পারবে না। আজ সন্ধ্যার [৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার] মধ্যে তাদের আর জানি এই ব্যাংকে আমরা আর দেখতে না পাই। এখানে চাকরি করতে পারবে না, পারবে না, পারবে না। আজকে আপনাদের ম্যানেজারসহ বলে গেলাম, আগামী দিন আমরা আবার আসব। পরিবেশ যেন নষ্ট না হয়ে যায়। আমরা টেনেহিঁচড়ে ব্যাংক থেকে বের করে দেব, ইনশা আল্লাহ! আগামীকাল কোনো প্রক্রিয়ায় যেন অবৈধ লোক এই ব্যাংকে প্রবেশ করতে না পারে। যদি সঠিক পন্থায় নিয়োগ হয়, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তাদের জবাব দিতে হবে। না হলে তাদের ব্যাংক থেকে বের করে দিতে হবে। আমরা ঘোষণা দিয়ে গেলাম। আগামীকাল আবার খোঁজখবর নেব।’
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার সকালে জামায়াতের ওই নেতা ইসলামী ব্যাংকে যান। শনিবার সন্ধ্যার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়।
জানতে চাইলে জামায়াত নেতা আবদুর রহিম মুঠোফোনে বলেন, ‘দলীয়ভাবে আমাদের ওই ব্যাংকে যাওয়ার কোনো নির্দেশনা ছিল না। আমরা বৃহস্পতিবার ব্যাংকের সামনে মানববন্ধন করেছি। পরে ব্যাংকের ম্যানেজার আমাদের ডাকলে তাঁর কক্ষে যাই। সেখানে গিয়ে আমরা কথা বলেছি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল, এস আলমের সময় নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তারা যেন এই ব্যাংকে না থাকতে পারে। এটাই আমরা বলেছি। কোনো হুমকিধমকি দিইনি।
ইসলামী ব্যাংক মাদারীপুর পুরান বাজার শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল গাফ্ফার মিয়া বলেন, ‘সারা দেশেই ইসলামী ব্যাংক থেকে ৬ হাজার ৫০০ জন ছাঁটাই হয়েছে। আমাদের ব্রাঞ্চ (শাখা) থেকে ১৬ জন বাদ পড়েছে। যারা ছাঁটাই হয়েছে, তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন করেছে। তার প্রতিবাদে আবার গ্রাহকেরা মানববন্ধন করেছে। ওই দিন আবদুর রহিম একজন গ্রাহক হিসেবে মানববন্ধনে অংশ নেন। পরে ব্যাংকে আসেন। তিনি যে কথাগুলো তাতো ভিডিও তে আপনারা দেখছেন।
এ সম্পর্কে মাদারীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি এনায়েত হোসেন আমাদেরসময়কে বলেন, ‘আবদুর রহিম ইসলামী ব্যাংকে গিয়ে হুমকি দিয়েছেন, এটা তার ব্যক্তিগত । ব্যক্তিগত দায়ভার সংগঠন নেবে না।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত