মন্দির পুড়ছে, পুড়ছে সাম্য 

  সাহিত্য ও সংস্কৃতি ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২১, ১০:৪১ |  আপডেট  : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২১

মালিহা পারভীন
-------------------

যে জয়ন্তি ভালবেসে ঘর ছেড়ে আমিনা হয়েছিল
সেই ভালবাসাবাসির কাছে জানতে ইচ্ছে করে প্রেমের আলাদা ধর্ম কি?

ছোটবেলায় খেলা করতাম যে মাঠে
একদিকে ছিল মসজিদ, অন্যদিকে গির্জা।
সন্ধ্যে হলেই গির্জায় ঘন্টা বেজে উঠতো,  মসজিদ থেকে আজান--
আমি আর জেমস যার যার ঘরে ফিরে যেতাম।

তাপসিদের লক্ষিপুজার নাড়ু আর হামিদার ইফতারিতে পার্থক্য ছিল কিনা মনে পরে না।

যেমন মনে নেই মাসি, খালা , ভাই, দাদা ডাকে সম্পর্কের সেতুতে চিড় ছিল কিনা।

আস্তাকুঁড়ের শিশুকে যখন কোলে তুলে নেয় সন্তানহীনা মা,
মাতৃস্নেহে ধর্ম এসে কি তোলে দেয়াল !
রক্ত যখন শিরায় শিরায় প্রবাহিত হয়ে বাঁচায় জীবন-
কে কোন ধর্মের সেই খোঁজ রাখে না কেউ !

সন্ধ্যা মালতি, ভোরের শিউলিকে প্রশ্ন করি
পুজোর থালায় আর গলার মালায় তুমি কি আলাদা কেউ ? 
যে মাটি ফলায় ধান তাকেও বলি
কাদের জন্য ফলাও ফসল?
বলেছি আমি বৃষ্টি ফোঁটাকেও 
'জল' যারা বলে তোমায় অথবা বলে 'পানি'
তুমি কি সমান মিটাও না তৃষা তাদের !

তবে কেন ধর্মের কাছে হেরে যায় মানবতা,
হেরে যায় জীবনের হিসেব নিকেশ,
ভালবাসা, সম্প্রীতি ভেসে যায়,
ভেসে যায় বর্বরতার বিকারে! 

আগুনের হোলি আজ মন্দিরে, শাখা ও সিঁদুরে-
জ্বলছে আজ মন্দির, জ্বলছে সাম্য
সিঁদুর পুড়ছে, পতাকা পুড়ছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত