বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলতে হলে সংযত হয়ে বলতে হবে : সেলিমা রহমান
প্রকাশ: ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:৪৬ | আপডেট : ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:৪৮
বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলতে হলে সংযত হয়ে বলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী দোসরদের নানামুখী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে নাগরিক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সেলিমা রহমান বলেন, উপদেষ্টারা দল করবে খুব ভালো কথা। ছাত্র-যুবক ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র গণআন্দোলন, ৯০’র স্বৈরাচারী আন্দোলন সবসময়ই তরুণ সমাজ করেছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে এরকম ক্ষমতার লোভ ছিল না। তারা দেশের জন্য সবসময় অংশগ্রহণ করেছিল এবং যার যার জায়গায় তারা সে সময় চলে গিয়েছিল। আপনারা সরকারে থেকে দল করবেন সেটা হবে না। বিএনপি একটি বড় দল এবং ঐতিহ্যবাহী দল সেই দলের বিরুদ্ধে কথা বলতে হলে সংযত হয়ে কথা বলতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় দেশের জন্য লড়াই করেছে। দেশের স্বাধীনতার প্রতি জিয়া পরিবারের বড় ভূমিকা ছিল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এদেশের জন্য রক্ত দিয়েছেন। শেখ মুজিবুর রহমান একাত্তরের যুদ্ধের সময় আত্মসমর্পণ করেছিল। সে কখনো মুক্তিযুদ্ধ চায়নি। তার কন্যা শেখ হাসিনা কখনো এ দেশের ভালো চায়নি। তারা শুধু চেয়েছে এই দেশের মাটি। এদেশের ক্ষমতা। আওয়ামী লীগ মানেই হলো জঙ্গি, লুটপাটকারী, দেশ ধ্বংসকারী, টাকাপাচারকারী।
তিনি বলেন, এখন খবরের কাগজে রোজ দেখা যাচ্ছে, কীভাবে একটা পরিবার দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে। এদেশের সব সম্পদ লুটে নিয়ে গেছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একেবারে নিঃশেষ করে দিয়েছে। পুলিশকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। এখনো আমরা বিভিন্ন জায়গায় দেখি পুলিশি কার্যক্রম ভালোভাবে চলছে না।দোসররা পালিয়ে গেছে ঠিক, কিন্তু তারা এখনো আমাদের প্রশাসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তারা ঘাপটি মেরে আছে। পত্রিকায় দেখলাম ছাত্রলীগ ১ ফেব্রুয়ারি থেকে লিফলেট বিতরণের কর্মসূচি দিয়েছে। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে, তাদেরকে আমরা এদেশে আসতে দেব না।
বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্য তিনি আরো বলেন, এখনো একটি শক্তিশালী শিক্ষা কমিশন গঠন হয়নি। বাংলাদেশের মানুষ এখনও নিরাপদে নেই। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী দোসরা আজ চেপে বসে আছে, তাদেরকে এখনো সরানো যায়নি।
জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের সভাপতি মনজুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম ও সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম স্বপন রানার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুন অর রশিদ, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হক, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি বিলকিস ইসলাম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন, তাঁতীদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর শাহ আলম, মৎস্যজীবী দলর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, জিসফ নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান, শামসুজ্জোহা, আলী মন্ডল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, কেন্দ্রীয় সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ভূঁইয়া, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক ফয়েজ পাটোয়ারী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর আহবায়ক শেখ সহিদ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সানা উল্লাহ ভূঁইয়া, নেত্রকোনা জেলার ফরিদুল ইসলাম রাসেল, ফরিদপুর জেলার আহবায়ক মোঃ কামরুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মীর মোহাম্মদ তুহিন, ফরিদপুর জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান নাসির, জিসফ মিরপুর থানার আহবায়ক মো: ফয়েজ উল্লাহ, সদস্য সচিব মোঃ মনির হোসেন, কাফরুল থানার আহবায়ক মোঃ খোকন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মামুন হাওলাদার সহ জিসফ কেন্দ্রীয়, মহানগর, থানার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত