নন্দীগ্রামে পুরোদমে চলছে আমন ধানের চারা রোপন কাজ

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৫, ১২:১৩ | আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৪৬

বগুড়ার নন্দীগ্রামে পুরোদমে চলছে আমন ধানের চারা রোপণ কাজ। অতিবৃষ্টির কারণে কিছুদিন আমন ধানের চারা রোপণ কাজ বিরতি রাখার পর আবারো শুরু হয়েছে। এখন বর্ষাকাল পেরিয়ে শরৎকাল চলছে। তাই মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হচ্ছে। আর বৃষ্টির পানি জমিতে পরিমিতভাবে জমে থাকা অবস্থায় হালচাষ করে করে আমন ধানের চারা রোপণ কাজ করতে হয়। তাই হালচাষ করার এখনই উপযুক্ত সময়। এজন্য কৃষকরা সময় বিলম্ব না করে উপযুক্ত সময়ের মধ্যেই জমিতে হালচাষ ও চারা রোপণের মধ্যদিয়ে আমন ধানের চাষাবাদ শুরু করে দিয়েছে।
শস্যভাণ্ডার খ্যাত নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকরা বছরে তিনবার ধানের চাষাবাদের পাশাপাশি রবিশস্যরও চাষাবাদ করে থাকে। এর কারণ নন্দীগ্রাম উপজেলার ফসলি জমির মাটি খুব উর্বর। যে কারণে ধান ও রবি শস্য উৎপাদনে অনেক পারদর্শী নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি খরিপ-২ মৌসুমে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ১৯ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ৯৭ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে (আবার কমবেশিও হতে পারে)। এই উপজেলার কৃষকরা খরিপ-২ মৌসুমে ব্রিধান-৩৪, ব্রিধান-৪৯, ব্রিধান ৭৫, ব্রিধান-৮৭, ব্রিধান-৯০, কাটারীভোগ ও স্বর্ণলতাসহ অন্যান্য জাতের আমন ধানের চাষাবাদ করে থাকে। প্রতিবিঘা জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করতে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। বিগত বছরে নন্দীগ্রাম উপজেলায় প্রতিবিঘা জমি হতে ১৭ থেকে ২০ মন হারে আমন ধানের ফলন পাওয়া গেছে। ধানের বাজার দর ভালো থাকলে আমন ধান চাষাবাদেও লাভের ও অংক গুণে থাকে কৃষকরা। আমন ধান বিক্রি করার টাকা দিয়ে কৃষকরা রবিশস্য ও বোরো ধানের চাষাবাদ করে।
নন্দীগ্রাম উপজেলার নন্দীগ্রাম ইউনিয়নের হাটলাল গ্রামের আদর্শ কৃষক আফছার আলী জানান, আমার ২৪ বিঘা জমিতে ব্রিধান-৪৯ জাতের আমন ধানের চারা রোপণ করেছি। জমিতে হালচাষ করা হতে ধান কাটা-মাড়াই পর্যন্ত ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। বিঘাপ্রতি জমি হতে ১৭-২০ মণ হারে আমন ধানের ফলন পাওয়া যায়। এতে খরচ বাদ দিয়েও প্রতিবিঘা জমির আমন ধান বিক্রি করে ১৬-১৮ হাজার টাকা লাভ হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক জানান, কৃষকরা ইতোমধ্যেই আমন ধানের চারা রোপণ কাজ শুরু করেছে। চলতি মাসের ১০/১২দিনের মধ্যেই আমন ধানের চারা রোপণ কাজ শেষ হবে।আমরাও ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ এবং সহযোগীতা দিয়ে আসছি। উৎপাদন বৃদ্ধি হলে কৃষকরা সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়। এ ছাড়াও দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিক রাখে। তাই সবধরনের ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত