এভারেস্টে উঠছে চার বছরের শিশু জারা
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৭ | আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৪৪
মাত্র চার বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু পর্বত এভারেস্টে আরোহন শুরু করে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছে মেয়ে শিশু জারা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এভারেস্টের উচ্চতা ২৯ হাজার ২৯ ফুট; ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম মেট্রোর বরাত দিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বর্তমানে ১৭ হাজার ৫৯৮ ফুট উঁচুতে একটি বেস ক্যাম্পে রয়েছে জারা জেড।
চেক প্রজাতন্ত্র ও কানাডার যৌথ নাগরিক জারা অবশ্য একা এই অভিযানে যায়নি। তার বাবা ইফরা জেড এবং তার সাত বছর বয়সী ভাই সাশা জেডও রয়েছে তার সঙ্গে।
এভারেস্টে এর আগে সবচেয়ে কম বয়সে আরোহনের রেকর্ডটি ছিল প্রিশা লোকেশ নিকাজু’র। ভারতের মহারাষ্ট্রের থানে জেলার বাসিন্দা ও মেয়ে শিশু প্রিশা ২০২৩ সালে মাত্র ৫ বছর বছর বয়সে এভারেস্টে উঠেছিল। সাশার বয়স এখন ৪ বছর ৫ মাস। তাদের অভিযান সফল হলে আর কিছু দিনের মধ্যেই সবচেয়ে কম বয়সে এভারেস্টে ওঠার রেকর্ডটি তার হয়ে যাবে। মাউন্ট এভারেস্টে সারা বছরই ঠান্ডা আবহাওয়া থাকে এবং শীতকালে তা হিমাঙ্কের অনেক নিচে নেমে যায়। তবে তীব্র ঠান্ডায় জারার কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানিয়েছে তার বড় ভাই সাশা। এই তীব্র শীতও তাকে হার মানাতে পারছেনা ।
ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সাশা বলেছে, ‘ছোট্ট জারা গরম পানিতে স্নান করতে পছন্দ করে না; বরং স্নানের সময় সে ঠান্ডা পানির সঙ্গে তার বরফ কিউব চাই। তার শারীরিক অবস্থা খুবই ভালো, এমনকি আমাদের দলের অন্যান্য ট্র্যাকারের চেয়েও ভালো। এই ঠান্ডায় তার কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’ জারার বাবা ডেভিড সিফ্রা, আরোহণের সময় তার সন্তানদের রক্তের অক্সিজেন স্যাচুরেশন পরীক্ষা করার বিষয়ে সচেতন ছিলেন।
চেক রিপাবলিক ও কানাডার যৌথ নাগরিক হলেও সাশা এবং জারার জন্ম ও বেড়ে ওঠা মালয়েশিয়ায় সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করে তাদের পরিবার। তাদের বাবা ইফরা জেড ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে জানিয়েছেন, পুরোপুরি হাঁটতে শেখার পর জারা প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার হাঁটতো এবং ২০২৩ সালের গোটা বছর সে ২ হাজার ২০০ কিলোমিটার হেঁটেছে। ৪ বছর ৫ মাস বয়সী জারা ৩টি ভাষায় কথা বলতে পারে— চেক, চীনা এবং ইংরেজি।
সা/ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত