স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান পবনের প্রার্থিতা বাতিল
প্রকাশ : 2024-01-02 16:19:41১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে প্রথমবারের মতো লক্ষ্মীপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান পবনের প্রার্থিতা বাতিল করেছে ইসি।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে ইসির উপ-সচিব মো. আব্দুছ সালামের সই করা এক চিঠিতে তার প্রার্থিতা বাতিল করে সংস্থাটি।
চিঠিতে ইসি বলেছে, গত ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান পবন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ফোন করে অকথ্য, আপত্তিকর ও অশোভন বক্তব্য প্রদান করেন। রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ সুপারকে তিন দিনের মধ্যে বদলিসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেছেন- মর্মে অভিযোগ করে গত ৩০ ডিসেম্বর পবনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করে জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার ইসি সচিবালয়ের সচিব বরাবর পত্র প্রেরণ করেন। লক্ষ্মীপুরের আরও খবর জানতে
এর পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রার্থীকে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে ১ জানুয়ারি ইসি সচিবালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য পত্র প্রেরণ করা হয়। এরপর বর্ণিত প্রার্থী উল্লিখিত তারিখে ইসি সচিবালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে কমিশনের কাছে ব্যাখ্যা দেন। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিটি।
চিঠিতে বলা হয়, এমতাবস্থায়, আপনার (হাবিবুর রহমান পবন) বিরুদ্ধে বর্ণিত নির্বাচনী অপরাধসহ ‘নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম’ সংঘটনের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ আসনে আপনার প্রার্থিতা বাতিল করা হলো।
এ অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিসারের মাধ্যমে তদন্তের জন্য ইসি নির্দেশ দেয়। জেলা নির্বাচন অফিসার বিষয়টি তদন্ত করে ‘ঘটনার সত্যতা রয়েছে’ মর্মে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠান।
শুনানিকালে প্রার্থীপক্ষের বক্তব্য, জেলা নির্বাচন অফিসারের পাঠানো তদন্ত প্রতিবেদন, নির্বাচনী অনুসন্ধান প্রতিবেদন এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি পর্যালোচনায় প্রার্থীর দ্বারা ‘নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম’ সংঘটনের বিষয়টি প্রমাণিত হয়। এরপর রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার, ১৯৭২ এর ধারা ৯১ই এর কজ (২) এর বিধান অনুযায়ী লক্ষ্মীপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পবনের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ প্রতিবেদন ৩১ ডিসেম্বরে ইসিতে পাঠান সংশ্লিষ্ট জেলার নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে প্রথমবারের মতো কোনো প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হলো।
সা/ই