সিআইডির নতুন প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২২, ১২:৫১ | আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:৩৯
টুরিস্ট পুলিশ প্রধানের দায়িত্ব থেকে অতিরিক্ত মহা পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ আলী মিয়াকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির আদেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ অধিশাখার উপ-সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাসের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
সিআইডি প্রধানের পদ থেকে অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান গত ৩০ জুলাই অবসরোত্তর ছুটিতে যান। ২০২১ সালের ৩১ জুলাই অবসরের বয়সসীমা শেষ হওয়ার সরকার মাহবুবকে এক বছরের জন্য আবার নিয়োগ দেন। মোহাম্মদ আলী তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী মিয়া ১৯৯৫ সালের ১৫ নভেম্বর পুলিশে যোগ দেন। তিনি ১৫তম বিসিএসে মেধা তালিকায় ২৪তম স্থান অধিকার করেছিলেন। ওই ব্যাচে বর্তমানে ৬৬ জন কর্মকর্তা পুলিশে কর্মরত।
এর আগে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ডিআইজি, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি, মানিকগঞ্জ ও হবিগঞ্জের জেলা পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ আলী।
এ ছাড়া আজ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদে চলতি দায়িত্ব দিয়ে দুই কর্মকর্তা ও এক পুলিশ সুপারকে (এসপি) পদায়ন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে থাকা মোহাম্মদ ইমাম হোসেন ও চট্টগ্রাম রেঞ্জ ফোর্স রিজার্ভের কমান্ড্যান্ট অতিরিক্ত ডিআইজি শ্যামল কুমার নাথকে ডিআইজি (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে সিআইডিতে পদায়ন করা হয়েছে। আর ময়মনসিংহ পুলিশ ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট বেগম ফাহিমা হোসেনকে পুলিশ সদর দপ্তরে টিআর পদে পদায়ন করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম ২০২০ সালের ৩০ মে পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো এক চিঠিতে মোহাম্মদ ইমাম হোসেনকে বদলির সুপারিশ করেছিলেন।
চিঠিতে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস) মো. ইমাম হোসেন একজন দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা। ডিএমপির বিভিন্ন কেনাকাটায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তিনি ডিএমপির কেনাকাটায় স্বয়ং পুলিশ কমিশনারের কাছে পার্সেন্টেজ নেওয়ার প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। ফলে ওই কর্মকর্তাকে ডিএমপিতে কর্মরত রাখা সমীচীন নয় মর্মে প্রতীয়মান হয়।
এর ১০ দিন পর (৯ জুন) কমিশনার তাঁকে বদলি করেন পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম)। এরপর ওই বছরের ২৯ জুন সিআইডিতে অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে পদায়ন হয় ইমামের।
প্রজ্ঞাপনে থাকা আরেক কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ কক্সবাজারের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি)। ২০১৫ সালে ইয়াবা ভর্তি পিকআপ ভ্যান নিয়ে দুজন পুলিশ সদস্য ঢাকায় যাওয়ার পথে কুমিল্লায় দুর্ঘটনা-কবলিত হলে ধরা পড়েন। পরে র্যাব এই দুই পুলিশ সদস্যকে আটক করে। জেলার এসপির বাসা থেকে ইয়াবা পাচারের তথ্য পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তর তৎকালীন এক ডিআইজি ও অতিরিক্ত ডিআইজিকে দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি শ্যামল কুমার নাথের ইয়াবা ব্যবসায় সম্পৃক্ততার তথ্য প্রমাণসহ প্রতিবেদন দিলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি মন্ত্রণালয়।
সবশেষ গত ১১ মে ৩২ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে ডিআইজি করা হলেও সেখানে নাম ছিল না ইমাম হোসেন ও শ্যামল কুমার নাথের। পদোন্নতি না পেলেও ডিআইজি পদে চলতি দায়িত্ব হিসেবে পদায়নের কারণে বেতন ছাড়া বাকি সব সুযোগ-সুবিধাই পাবেন তাঁরা।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত