দেশে এখন বড় ধরনের কোন জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই : ডিএমপি কমিশনার
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১ জুলাই ২০২১, ১৬:২৭ | আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৪৩
দেশে এখন বড় ধরনের কোন জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা.শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সাইবার ওয়ার্ল্ড এর মাধ্যমে জঙ্গিরা প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা রিক্রুটিংও করার চেষ্টা করছে। এমনকি তারা ভার্চুয়াল সাইটকে ব্যবহার করে প্রশিক্ষণও দিচ্ছে। আমাদের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ ডিএমপি’র সিটিটিসি ইউনিট সব বিষয়গুলোকে নজরদারীর মধ্যে রেখেছে। ফলে বড় ধরনের কোন হামলার আশঙ্কা এখন আছে বলে আমরা মনে করি না’।
আজ বৃহস্পতিবার ‘হলি আর্টিজান’ হামলায় নিহতের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার এ কথা করেন।
আজ ১ জুলাই গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার ট্র্যাজেডির পাঁচ বছরে পূর্তি উপলক্ষে নিহত দেশী-বিদেশীদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন ডিএমপি কমিশনার।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে গুলশান থানার সামনে স্থাপিত (এসি রবিউল ও ওসি সালাউদ্দিনের) ভাস্কর্যে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কমিশনার। আরও শ্রদ্ধা জানান, র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মনিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান।
জঙ্গি তৎপরতা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, জঙ্গিরা এখন কেবলমাত্র বাংলাদেশেই শুধু নয়, সারাবিশ্বে তারা নেটভিত্তিক হয়ে গেছে। সাইবার ওয়ার্ল্ডের মাধ্যমে তারা তৎপরতা চালাচ্ছে। মূলত দৃশ্যমান তাদের তেমন কোন তৎপরতা নেই। তাদের নেটওয়ার্ক ভেঙ্গে গেছে।
২০১৬ সালের ১ জুলাই আজকের এই দিনে গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারীতে সন্ত্রাসীরা ভয়াবহ হামলা চালায়। এতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দু’কর্মকর্তাসহ দেশী-বিদেশী ২২ জন নিরীহ নাগরিক নিহত হন। এই সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে অকালে আত্মত্যাগ করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দু’নির্ভীক কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারি পুলিশ কমিশনার মো. রবিউল করিম ও বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সালাহ উদ্দিন খান।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত পৌনে ৯ টার দিকে রাজধানীর গুলশানের ৭৯ নম্বর রোডের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় পাঁচজনের একটি সন্ত্রাসী দল অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা দেশী-বিদেশী ২০ জন নাগরিক দু’পুলিশ কর্মকর্তাকে নৃশংসভাবে খুন করে। নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে মারা যান ৯ ইতালীয়,৭ জাপানি, ১ ভারতীয়, ১ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান এবং ২ জন বাংলাদেশী নাগরিক। সেদিনের সম্মিলিত প্রতিরোধ অভিযানে ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত