করোনায় আরও ৫৬ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১ হাজার ৩৮৬

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৯ মে ২০২১, ১৭:৩৫ |  আপডেট  : ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৬

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা ) আরও ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে ১ হাজার ৩৮৬ জনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। 

আজ রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বুলেটিন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। আগের দিন শনিবার দেশে ১ হাজার ২৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। আর মৃত্যু হয়েছিল ৪৫ জনের।

এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেলেন ১১ হাজার ৯৩৪ জন। আর শনাক্ত হয়েছেন মোট ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫১৩ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৩২৯ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ১০ হাজার ১৬২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৬ হাজার ৯১৫টি। এর মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৮৬ জন। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় আক্রান্তের হার ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বুঝতে পারার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা হয়।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন এই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান এই মহামারিকালে গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাস দুয়েক পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল।

গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। মার্চে শুরু হয় সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। মার্চের শেষ দিকে এসে দেশে নতুন রোগী বাড়তে শুরু করে লাফিয়ে। সঙ্গে বাড়তে থাকে মৃত্যু। সংক্রমণ ঠেকাতে গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। যদিও তা ছিল ঢিলেঢালা। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে আবারও সংক্রমণে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। এখনো সে প্রবণতা অব্যাহত।

জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, করোনা ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে দেওয়া লকডাউনের প্রভাবে সংক্রমণ নিম্নমুখী হয়েছে। তবে এখন লকডাউন শিথিল হয়েছে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা না গেলে যেকোনো সময় পরিস্থিতি আবার খারাপ হতে পারে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত