নিউজ ডেস্ক: শাওয়ালের চাঁদ শুক্রবার দেখা না দেওয়ায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এবার রোজার ঈদ হবে রোববার। তবে সেখানে ঈদের ছুটিতে থাকবে কারফিউ, মসজিদে ঈদের নামাজও হবে না। সৌদি কর্তৃপক্ষের বরাতে সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
আরবি পঞ্জিকা মেনে এক মাস রোজা পালন শেষে শাওয়াল মাসের প্রথম দিন ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন বিশ্বের মুসলমানরা। এটাই মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব।
এবার ঈদ এসেছে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে। ফলে আনন্দের ঈদে মিশেছে বিষাদের ছায়া; সঙ্গে সংক্রমণ এড়াতে নানা কড়াকড়িও থাকছে। বিশ্বের অনেক দেশই এখন কমবেশি লকডাউনের মধ্যে আছে।
ঈদের মধ্যে লোক সমাগমে ভাইরাসের বিস্তার যাতে বাড়তে না পারে, সেজন্য শুক্রবার বিকাল ৫টা থেকে বুধবার পর্যন্ত পুরো দেশে কারফিউ জারি করেছে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সৌদি গেজেট জানিয়েছে, দেশটির কোনো মসজিদে ঈদের জামাতের আয়োজন না করতে ইমামদের প্রতি নির্দেশনা জারি করেছে সৌদি ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার শাওয়ালের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রোববার ঈদ হবে। সাধারণত সৌদি আরবের একদিন পর বাংলাদেশে চাঁদ দেখা যায়। এ বছর বাংলাদেশে রোজাও শুরু হয়েছিল সৌদি আরবের একদিন পর।
করোনাভাইরাস অতিমাত্রায় সংক্রামক বলে সব ধরনের অফিস-আদালত ও গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে গত ২৬ মার্চ থেকে। এই সময় সবাইকে বাসায় থাকার, জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ার ওপর দেওয়া কড়াকড়ি সম্প্রতি তুলে নেওয়া হলেও এবার রোজার ঈদের দিন ঈদগাহ বা খোলা জায়গার বদলে বাড়ির কাছে মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে বলেছে সরকার।
সেইসঙ্গে মসজিদে ঈদ জামাত আয়োজনের ক্ষেত্রে সুরক্ষার ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বেশ কিছু শর্ত দিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় বলেছে, এসব নির্দেশনা না মানলে ‘আইনগত ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে।