আলম শহীদ
করোনা, তার উপর শাকের আটি আম্পান। বিরূপ বৈরী প্রকৃতি। লড়ছে বিশ্ব, লড়ছে বাঙালি। চলছে রোজা। আসছে ঈদ।
বন্ধসামাজিকতা। বন্ধ দোকানপাট-ব্যবসা। বন্ধ অর্থের যোগান। ভুগছে মানবিকতা। তাও করছে কেউ কেউ দুর্নীতি। শঙ্কায় শিক্ষাজগৎ। ধর্মের শুভতা স্থির। স্তম্ভিত চিকিৎসাবিজ্ঞান।
শান্তি-হাসি-আনন্দ নির্বাসনে। ভবিষ্যৎ শঙ্কাদীর্ণ। স্থবীর অর্থনীতি প্রবাহ। চোখ রাঙাচ্ছে দুর্ভিক্ষ। এতো দুর্গমে ও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ, লড়ছে বাংলাদেশ হে মানুষ, তোমারই সক্রিয় সৃজনশীল সুদৃঢ় অটুট প্রজ্ঞা আর অনাবিল অমোঘ ভালোবাসায়।
হে মানুষ, হে বাঙালি এবার আবারো মহাকালের মহাযজ্ঞে তোমার মহাপরীক্ষা। এ পরীক্ষা প্রকৃতি জয়ের, চিকিৎসা জয়ের, আর্থ-সামাজিক অবস্থান জয়ের সর্বোপরি জীবন জয়ের। আর এ যুদ্ধের অব্যয় অনুপ্রেরণা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ।
আমরা ও কালেকালে বারবার শূন্য থেকে শুরু করেই প্রকৃতির রাবণ, সীমার,আর দুর্যোধন-রক্তবীজদের কুরুক্ষেত্রে সম্পূর্ণরূপে পরাজিত করে অর্জন করেছি সুবর্ণ রক্তিম বিজয়। আমরা চিরকাল ব্রাত্য কিন্তু অজেয়, অপরাজেয় ও বিজয়ীবীর। সকল প্রচণ্ড প্রতিকুলতার বিরুদ্ধ শক্তিকে মোকাবেলা করে অভাবনীয় অবিনশ্বর জয় ছিনিয়ে এনে জয়ী হয়েছি। তাই ভয় নয়, স্থীর লক্ষ্য নিয়ে, অনমনীয় কর্মকুশলতা আর ক্রমাগত কাজের মাধ্যমে আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা আবারো জিতবো।জিততেই হবে। কারণ মানুষ বাঙালি– ধর্ম,রক্ত,বিশ্বাস ও দৃঢ়তার আস্থায় চিরঅপরাজেয় অজেয় বিজয়ী বীরের জাতি। জয় আনবো সোনামুখী ধানের মতো প্রাকৃতিকরোগ-শোক, মানবসৃষ্ট অপঘাত,অপকর্মকে মোকাবলা করে মানবিক ভালেবাসায়। কারণ সংকটে সম্ভাবনার কল্পতরু সৃষ্টি করার কারণেই বাঙালি বিশ্বমানব। আর বিশ্বমানবের জয় অনিবার্য।
আর একটু সময়, একাগ্রতা, দেশও মানবপ্রেম আর মানব কল্যাণব্রত নিয়ে আমাদের সামনে এগুতে হবে শংকামুক্ত প্রাণোচ্ছল নীরোগ আনন্দময় স্বর্গীয় স্বদেশ বাংলা ও পৃথিবী গড়ার প্রত্যয়ে।আসুন সকলেই আপন আপন ক্ষমতা নিয়ে মানবিক বিজয়ের এই মহাযুদ্ধে বীরের মতোই অংশগ্রহণ করি আপন স্থানে আপন সাধুচেতনায়।
মানুষ জিতবে, বাঙালিও আবার জিতবে, কারণ হারাবার তার কিছু নেই কিন্তু জেতার জন্য আছে জ্ঞাত-অজ্ঞাত মহাপ্রকৃতি, মহাবিশ্ব আর গোটা মানবজাতি। জয়তু মানুষ, জয়তু বাঙালি ও জয়তু বাংলা। স্বদেশ মোদের অপরূপ অপরাজেয় মাতৃময়ী।