কাজী দীপু, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জে মঙ্গলবার গজারিয়া থানার ওসিসহ চার পুলিশ এবং তিন বাংক কর্মকর্তা নিয়ে নতুন করে আরও ২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই নিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত সংখ্যা ৪৪৩। তবে শনাক্তের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এখনও ৩১৫ জনের নমুনা রিপোর্ট পেন্ডিং রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে নতুন ২৫ জনের মধ্যে গজারিয়া থানার ওসিসহ ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬ জন। টঙ্গিবাড়ি উপজেলায় ২ জন, শ্রীনগর উপজেলায় ১ এবং সিরাজদিখান উপজেলায় ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে মঙ্গলবার লৌহজং উপজেলায় নতুন করে আর কারও করোনা শনাক্ত হয়নি।
অন্যদিকে মঙ্গলবার করোনা জয় করা ২০ জনের মধ্যে ১৫ জনই সিরাজদিখানের। এছাড়া মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪ জন এবং শ্রীনগর উপজেলায় ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ৭৬ জন করোনা জয় করেছেন।
এদিকে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ৬ জন করোনা শনাক্তের মধ্যে মুন্সীগঞ্জ জেনারেরল হাসপাতালের পুরুষ ফর্মাসিস্ট (৫১), ইদ্রাকপুরের পুরুষ (৫৪), হাতিমারা মহিলা (৩৫), মুন্সীগঞ্জ একই পরিবারের পুরুষ (৬৮) ও মহিলা (৫২) এবং মুন্সীগঞ্জ সদরের আরেক মহিলা (৩৭)। গজারিয়া উপজেলার ৪ জন পুলিশ সদস্যসহ ১৫ ওনের মধ্যে গজারিয়া থানায় ওসি ইকবাল হোসেন (৪৮), এএসআই পুরুষ (৩১), পুরুষ পুলিশ কনস্টেবল (২৯), ও মহিলা পুলিশ কনস্টেবল (২২) । এছাড়াও সোনালী ব্যাংকের গজারিয়া শাখার তিন কর্মকর্তা পুরুষ (৫০), পুরুষ (৩৩) ও পুরুষ (৩০)। এছাড়া ইমামপুরের পুরুষ (৫৯), ইমামপুরের মহিলা (৪০) ইমামপুরের পুরুষ (৫৪), রায়পুরার মহিলা (৪৩), মুদারকান্দির পুরুষ (৬৩), তেতুইতলার পুরুষ (৩৬), বড় রায়পুরার মহিলা (৪৩) ও কালীপুরার পুরুষ (৫৪)। নিয়ে সোনালী বংকের গজারিয়া শাখার ৯ কর্মকর্তার করোনা শনাক্ত হলো।এছাড়া শ্রীনগর উপজেলার করোনা শনাক্ত হয়েছে ষোলঘরের পুরুষ (৬০) সিরাজদিখান উপজেলার রয়েবাগ এলাকার এক পুরুষের (৩৮) করোনা শনাক্ত হয়েছে। টঙ্গিবাড়ি উপজেলায় ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে পাইকপাড়া গ্রামের পুরুষ (৪০) এবং চান্দেরবাজারের পুরুষ (৬০)।
সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, মঙ্গলবার ১৭ ও ১৮ তারিখে পাঠানো ১৭৬টি নমুনার রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে ২৫ জনের পজেটিভ।
এদিকে সোমবারের রিপোর্টে সদর উপজেলায় ১৮ জনের করোনার রিপোর্ট দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের একজন মহিলা স্টাফ (৩১) রয়েছেন, তার ফলোআপ পজেটিভ হবে। আমরা নতুন পজেটিভ হিসাবে উল্লেখ করি, তাই গণণা একটি কমে গিয়ে সোমবার সদর উপজেলার ১৭টি এবং সিরাজদিখানে ২টিসহ ১৯টি গণণা করতে হবে। তাই ১৮ মে রিপোর্টে ১৯টি পজেটিভ গণণা করতে হবে। তাই সোমবারের মোট ৪১৮টি গণণা ধরে মঙ্গলবারের ২৫টি যোগ করে মোট শনাক্ত সংখ্যা হবে ৪৪৩। সিভিল সার্জন আরও জানান, এপর্যন্ত ২৭৮১টি নমুনা প্রেরণ করা হয়েছে। ২৪৬৬টির নমুনার রিপোর্ট পাওয়া গেছে । এখনও ৩১৫ জনের নমুনার ফলাফল পেন্ডিং রয়েছে।