নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার দুই সপ্তাহ পর সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। সোমবার দুপুরে তিনি বলেন, “আমি আজ দুপুরে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলাম। এখন একদম করোনামুক্ত বলা যাবে আমাকে।”
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে গত ৩ মে রাতে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানান চিকিৎসকরা। ৬৯ বছর বয়সী মুনতাসীর মামুন তখন শ্বাসকষ্টের পাশপাশি হৃদযন্ত্রের জটিলতাও ভুগছিলেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন।
মুগদা হাসপাতালে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ৭ মে মুনতাসীর মামুনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাকে সিএমএইচে নেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। সুষ্ঠু চিকিৎসা নিশ্চিৎ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন।
তিনি বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ না জানালেই নয়। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসকদেরও ধন্যবাদ জানাই। তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টায় আমি আরোগ্য লাভ করেছি। “এছাড়াও অগণিত মানুষ যারা আমার জন্য প্রার্থনা করেছেন, মঙ্গল কামনা করেছেন- আমি তাদেরও ধন্যবাদ জানাই।”
গত ১৮ এপ্রিল মা জাহানারা খান কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে তাকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করাতে গিয়েছিলেন মুনতাসীর মামুন। সেখান থেকেই তিনি সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা পরিবারের সদস্যদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সহ-সভাপতি।
তিনি জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ড এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও জাতীয় আর্কাইভসের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন। ঢাকা নগর জাদুঘরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি। তিনি বাংলা একাডেমির একজন ফেলো। ঢাকার ইতিহাস চর্চার জন্য মুনতাসীর মামুন প্রতিষ্ঠা করেছেন সেন্টার ফর ঢাকা স্টাডিজ (ঢাকা চর্চা কেন্দ্র)।