শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: শ্রীনগর বাজারে বিভিন্ন দোকানপাট গুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় ঠেকাতে ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া সব দোকান পাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, যেহেতু শ্রীনগর বাজার কমিটি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে দোকানপাট খোলা রাখতে ব্যর্থ সেক্ষেত্রে ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া কাপড়, জুতা, কমমেটিকসহ অন্যান্য পণ্যর দোকান বন্ধ রাখার ষোঘণা দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ সরকারি আইন অমান্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বাজার থেকে জনসমাগম এড়ানোর জন্য সার্বক্ষনিক নজর রাখা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন ব্যবসায়ীদের সাথে সভা করে বুধবার থেকে মুন্সীগঞ্জর জেলার সকল উপজেলা ও পৌরসভার দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু শ্রীনগর বাজার কমিটি ও জনপ্রতিনিরা প্রথমে জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলাপ করে দোকান বন্ধ রাখার কথা বলেন। পরে তারা ¯^াস্থ্যবিধি মেনে শ্রীনগর বাজার খোল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে তা উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে দেয়।অথচ বুধবার শ্রীনগর বাজারে ভাইরাস সংক্রমণ রোধে কোনও প্রকার আইন মানা হচ্ছিল না।
শ্রীনগর বাজার ও এর আশপাশের বিভিন্ন কাপড়, জুতা, কসমেটিকসহ সব ধরনের দোকান গুলোতে ছিল মানুষের ভীড়। যদিও দুপুরের দিকে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের নির্দেশ আসে দোকানপাট বন্ধ রাখার জন্য। তার পরেও দোকানের অর্ধেক সাটার নামিয়ে অনেক ব্যবসায়ী পন্য বিক্রি করেছে। উপজেলায় ৪১ জন আক্রান্ত হলেও শ্রীনগর বাজারের চিত্র দেখে মনে হবে মানুষের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার কোন প্রভাব পরেনি!
শ্রীনগর বাজারের আশপাশের রাস্তা গুলোর চিত্র হচ্ছে সামাজিক দুরত্বের ধার না ধরে আটোরিক্সায় ৫/৭ জন করে যাত্রী চাপাচাপি করে চলাচল করছে। বাজার সংলগ্ন ব্রীজেও যেখানে সেখানে হকাররা ভাসমান দোকান খোলে বসেছে। সব খানেই মানুষের ভীড় ছিল উপচে পরা।
এবিষয়ে শ্রীনগর বাজার কমিটির যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেনের বলেন, আমরা প্রশাসনের সাথে আলাপ আলোচনা করে শর্ত সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে মার্কেট ও দোকান খোলার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু এখন করোনা মোকাবেলায় কোনও প্রকার সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মানা যাচ্ছেনা। তাই আমরা বাজার কমিটির পক্ষ থেকে ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান ব্যতিত মার্কেটসহ অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ রাখার জন্য উপজেলা প্রশাসনের সাথে একমত পোষন করছি।
শ্রীনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোখলেছুর রহমান শ্রীনগর বাজারকে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর আখরা হিসাবে আখ্যায়িত করে বলেন, মার্কেট খোলার ঘোষনার পর থেকেই শ্রীনগর বাজারে মানুষের ভীড় বেড়েছে। এর আগে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশক্রমে জনসমাগম এড়াতে শ্রীনগর বাজার থেকে কাঁচা বাজার অন্যত্র সরিয়ে আনতে বললেও সবাই আসেনি। যদি বাজারের ভিতর থেকে কাঁচা বাজার গুলো সম্পূর্ণরুপে সড়ানো যেত, তাহলে ভীড় কিছুটা কমতো। তাছাড়া সাধারণ মানুষের মধ্যেও সচেতনতা বৃদ্ধি পায়নি। তারা দেশের এই পরিস্থিতিতে কোনও রকম আইন মানছেনা। সেই ক্ষেত্রে করোনা মোকাবেলায় মার্কেট বন্ধ থাকাই উত্তম।