মোঃ ইসমাইল হোসেন, জেলা প্রতিনিধি, মেহেরপুর: মেহেরপুর ও গাংনী শহরে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১ টার সময় ঈদকে সামনে রেখে, সাধারণ মানুষ সামাজিক ও শারীরিক দুরুত্ব বজায় না রেখে ঈদের কেনাকাটায় মহা ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে। শপিংমল গুলোর মালিক ও বাজার সমিতির মালিকের পক্ষ থেকে বারবার মাইকে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখার কথা বললেও কোনমতে মানাতে পারছে না সাধারণ মানুষকে। করোনাভাইরাসের কারণে লক ডাউন থাকা স্বত্তেও সরকারী বিধি নিষেধ এবং শর্ত সাপেক্ষে শপিংমল গুলো সীমিত আকারে সামাজিক ও শারীরিক দুরুত্ব বজায় রেখে খোলা রাখলেও মানছে না সাধারণ মানুষ। একে অপরের “গা” ঘেষাঘেশি করে দাড়িয়ে শপিংমল গুলোতে মার্কেট করতে দেখো যায়।
প্রতি বছর ঈদকে সামনে রেখে ১০ রোজা থেকে ঈদের আগের রাত (চাঁদরাত) পর্যন্ত, মেহেরেপুরের মার্কেট গুলোতে চলে ১১ মাসের সমান বেচাকেনা, করোনার প্রাদুর্ভাবে এবার তা একেবারে ভিন্ন। এই অল্প সময়ের মধ্যে ব্যাবসায়ীদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া অনেক কঠিন হবে। দেশের পোশাক শিল্প গুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। করোনার প্রাদুর্ভাবে এবারের ঈদে ব্যাবসায়ীরা ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।
করোনভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দীর্ঘ ৪৬ দিন টানা লক ডাউনের পর ঈদকে সামনে রেখে ঈদের কেনাকাটার জন্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সীমিত পরিসরে খোলা হয় শিল্প-কলকারখানা সহ সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় ভাবে নিজ নিজ এলাকায় সামাজিক দুরুত্ব বজায় না রেখে ঈদের বেঁচাকেনা ও শহরের রাস্তা গুলো জ্যামে পরিনত হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহলরত গাড়ী দেখলে সাথে সাথে সাধারণ মানুষ সরে সরে দাড়াচ্ছে যেমনটি চোর পুলিশ খেলা হয়।
করোনাভাইরাস কভিড-১৯ সারা বিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর খবর। আমাদের দেশেও আজ এই মহামারী রোগে আক্রান্ত। তারপরও সাধারণ মানুষ একেবারে উদাসীন হয়ে যে যার মত, ঘোরাঘুরি ও সামাজিক দুরুত্ব বজায় না রেখে মেহেরপুর ও গাংনী মার্কেট গুলোতে ঈদের কেনাকাটা করতে দেখা যায়।
এই বিশ্ব মহামারী করোনা রোগ থেকে, যেখানে মানুষকে ঘরে রাখার জন্য রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম ও জীবন বাজি রেখে বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী, র্যাব, ডিবি, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী সহ সাংবাদিক কর্মীরা, প্রতিনিয়ত করোনা রোগে আক্রান্ত, আবার কেউ মৃত, হবার পরও জনসচেতন মূলক কার্য পরিচালনা করে যাচ্ছে। ঠিক সে মূহুর্তে মেহেরপুর ও গাংনীতে শপিংমল, মার্কেট ও শহরের রাস্তা গুলোতে সাধারণ মানুষের মধ্যে কোন প্রকার সচেতন দেখা যায়নি এমনকি অনেকে মাস্ক বিহীন মার্কেট গুলোতে চলাফেরা করতে দেখা গেছে।