স্পোর্টস ডেস্ক: ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন তখনকার ওয়ানডে অধিনায়ক ও বর্তমানে নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা। সে সময়ে গুঞ্জন ওঠে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। কিন্তু পরে আর অংশ নেননি তিনি।
সম্প্রতি জার্মান একটি গণমাধ্যমে ভিডিও সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথা বলেন সাকিব। সেখানে তার কাছ থেকে জানতে যাওয়া হয়েছিল, তিনি কি ২০১৮ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন কিনা কিংবা ভবিষ্যতে কি রাজনীতিতে আসবেন কিনা। সাকিব অবশ্য এটা নিয়ে কোনো মন্তব্য না করে বিষয়টি গোপন রাখার কথাই জানিয়েছেন।
সাকিব বলেন, ‘কিছু জিনিস আসলে গোপন থাকাই ভালো। যে বিষয়টি আপনারা জানতে চাচ্ছেন, সেটা প্রকাশ পাওয়াই উচিৎ না! যদি রাজনীতিতে আসি সেটা (২০১৮ সালে নমিনেশন পাওয়া) প্রকাশ পাবে না। আবার যদি নাও আসি তবে সেটাও আসবে না। এটা এমন একটি গোপন বিষয় যেটা আমি চাই না কখনো কেউ জানুক। মানুষের কৌতূহল জাগানোর মতো কিছু জায়গা থাকে। যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন সেটা নিয়ে মানুষের কৌতূহল থাকাই স্বাভাবিক। আমি যদি এই জায়গায় না থাকতাম তবে আমারও কিন্তু কৌতূহল থাকত। মানুষের মনে এইরকম দুই-একটা কৌতূহল থাকার দরকার। আপনি যদি সব কৌতূহল প্রকাশ করে দেন তখন আমাকে নিয়ে মানুষের কোনো আগ্রহ থাকবে না, এখন যেমন আছে। সেজন্য বলছি আগ্রহটা থাক।’
ভবিষ্যতে এমপি, মন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা আছে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেন, ‘এই বিষয়টা সময়ের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। ভবিষ্যতের ব্যপারে বলা খুব কঠিন। করোনা ভাইরাসের এই কঠিন সময় আমি এতটুকু শিক্ষা পেয়েছি যে, কাল কি হবে সেটা নিশ্চিত না। এই জন্য আমি বলতে চাই, খুব বেশি দূরের বিষয়ে আমি ভাবতে চাই না। যদি কোনোদিন সুযোগ আসে আমি স্বাগত জানাবো আর যদি সুযোগ না আসে সেটা নিয়েও আমার কোনো আফসোস থাকবে না।’