লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতা: মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার জশলদিয়ায় করোনা শনাক্ত একই পরিবারের চারজনকে বাড়ি পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে পুলিশ গিয়ে জানতে পারে পরিবারটি চলে গেছেন ঢাকার কেরাণীগঞ্জে। কেরানীগঞ্জ যেতে তারা ভেঙে ভেঙে ছোট ছোট গণপরিবহন ব্যবহার করেন। এতে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি বেড়ে গেছে। গত শুক্রবার রাতে লৌহজং থানার পুলিশ জশলদিয়ার খোকা মোল্লার বাড়িটি লকডাউন করে দিয়েছে। একই সাথে কেরাণীগঞ্জ থানাকে অবহিত করেছেন করোনা শনাক্ত পরিবারটিকে লকডাউন করার জন্য।
লৌহজং থানার এসআই নুরুল সৈকত ঘটনাস্থল থেকে ফিরে জানান, শুক্রবার লৌহজং উপজেলায় ছয়জন নতুনভাবে করোনা শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে দুজনকে পাওয়া গেলেও বাকি চারজনকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রাতে গ্রামটিতে পুলিশ গিয়ে জানতে পারেন পরিবারটি সকালেই অন্যত্র চলে গেছেন। লৌহজং থানার ওসি আলমগীর হোসাইন বলেন, পুরুষ (৪৮), পুরুষ (২৮), শিশু (৮) ও শিশু (৬)। এই চার জনের সোয়াব নেয়া হয় জশলদিয়া গ্রাম থেকে। কিন্তু ওই ঠিকানায় তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। পরে জানা যায়, পরিবারটি ঢাকার কেরাণীগঞ্জের কালিগঞ্জে বসবাস করতেন। তাদের ভাড়া বাসায় করোনায় একজনের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে তারা লৌহজং উপজেলার মেদেনীমণ্ডল ইউনিয়নের জশলদিয়া গ্রামে দুই সপ্তাহ আগে আসে।
এ বিষয়ে করোনা শনাক্ত ব্যক্তি (৪৮) পুলিশকে ফোনে বলেন, বাড়িতে ১৫ দিন ছিলাম। সকালে ঢাকায় চলে এসেছি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করার জন্য। পরিবারের সকলকে নিয়ে ঢাকা কেরাণীগঞ্জে আছি। তবে বিস্তারিত ঠিকানা দিতে রাজি হননি। এসআই নুরুল সৈকত জানান, পরে এই ফোন নম্বর সংশ্লিষ্ট থানায় দেওয়া হয়েছে।
লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শামীম আহমেদ বলেন, করোনা সোয়াব দেয়ার পরই সাবধান থাকা দরকার। সেখানে শনাক্ত হওয়ার পর এভাবে যাওয়ার ঘটনাটি কোনোভাবেই ঠিক করেনি পরিবারটি। আমাদের এতটুকু বোধ থাকতে হবে যে, আমার কারণে যাতে অন্যের সংক্রমণ না হয়। আমাদের সচেতনতা এবং দায়িত্বশীল আচরণ এই যুদ্ধে জয়ী হতে সহায়ক হবে।