যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া থেকে সাঈদ আলম টিটো: করোনায় আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রে মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ প্লান্টগুলো দিনে বন্ধ ঘোষণার ফলে সব ধরনের মাংস এবং মাংসজাত পণ্যের তীব্য সংকট দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্টের মোট মাংস প্রক্রিয়াজজাতকরণ প্লান্টের সংখ্যা ১৫০টি। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ৪৭ টি বন্ধ রয়েছে, ২টিতে সীমিত উৎপাদন চলছে, ৪ পুনরায় উৎপাদন শুরু করেতে যাচ্ছে। ফলে মোট চাহিদার ৪০ শতাংশ মাংস সাপ্লাই হ্রাস পেয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ফাস্ট ফুড চেইনগুলোতে। প্রায় ১৫ মতাংশ বিক্রি কমে গেছে ওগুলোতে।
খদ্দেরের চাহিদা মত সরবরাহ করতে না পারায় প্রতিষ্ঠানগুলো পড়েছে লোকসানের মুখে। এগুলোর মধ্যে টাইসন ফুডস ইনক, জেবিএস ইউএসএ, রশেল ফুডস, স্মিথফিল্ড ফুডস ইনকরপোরেট, কমফ্রেম প্রাইম উল্লেখযোগ্য। এই সব প্ল্যান্টের অনেক শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ফলে লেবার ইউনিয়ন প্ল্যান্ট বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। এ দিকে গরুর মাংস, শুকরের মাংস, মুরগী এবং অন্যান্য মাংসের সম্ভাব্য ঘাটতি রোধে মাংস প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রগুলিকে চালু রাখার জন্য ১৯৫০ সনের প্রতিরক্ষা উৎপাদন আইনের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। ফলে কিছু কিছু প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট চালু করার প্রচেষ্টা চলছে।
আদেশের অধীনে, আমেরিকার মাংস এবং হাঁস-মুরগি প্রসেসর প্রতিষ্ঠানগুলো সম্ভাব্য সর্বাধিক পরিমাণে নিরবচ্ছিন্নভাবে উৎপাদন অব্যাহত নিশ্চিত করার জন্য কৃষি বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কার্যনির্বাহী আদেশ অনুসারে, মাংস এবং হাঁস-মুরগি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রগুলোকে ‘জটিল অবকাঠামো’ হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। ট্রাম্প বলেছিলেন, মাংস প্রসেসিং প্ল্যান্ট বন্ধ করার ফলে দেশের খাদ্য সরবরাহ চেইনে খুব দ্রুত নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
এ সঙ্কট মোকাবেলা এবং আমেরিকান জনগণের জন্য খাদ্যের পর্যাপ্ত প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে, এ প্রসেসরগণ এই সংকটময় মুহুর্তে কাজ চালিয়ে যেতে সক্ষম হওয়াা জরুরি। পাশাপাশি তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ‘কোভিড-১৯’-এর বিস্তার রোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করাও জরুরি বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।