নজরুল ইসলাম
রহমত , নাযাত আর মাগফেরাত এই তিনটি অধ্যায় নিয়ে প্রতি বছর আমাদের সামনে হাজির হয় পবিত্র মাহে রমজান। অত্যন্ত ফজিলত আর বরকত পূর্ন এই মাসে আমরা যদি সিয়াম সাধনা আর আত্মশুদ্ধির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করতে পারি , তহলে নিঃসন্দেহে আমাদের জীবন ধারা প্রতিষ্ঠার জন্য এটা একটি টার্নিং পয়েন্ট।
এসময় বন্দার ফরিয়াদ আল্লাহর দরবারে খুব সহজেই কবুল হয়। তাই আসুন আমাদের অতীত জীবনের ভুল ত্রুটি আর গুনাহ গুলো থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। পবিত্র মাহে রমজানের বদৌলতে নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তার গাফুরুর রাহিম নামের গুণে আমাদেরক ক্ষমা করে দিতে পারেন।
আমাদেরকে মনে রাখতে হবে আজ সমগ্র পৃথিবীতে করোনা ভাইরাস নামক যে মৃত্যু দূত হন্যে হয়ে ঘুরছে , তা আমাদের কৃতকর্মের জন্যই । অনাচার পাপাচারে ছেয়ে গেছে গোটা বিশ্ব। আমাদের পাপের তরী এতটাই পূর্ণ হয়েছে যে, আল্লাহ তায়ালা হয়তোবা আর সয্য করতে পারেননি। একারণেই সাড়া বিশ্ববাসি আজ অদৃশ্য এক গজবীবালার স্বীকার।
তবে ভয়ের কিছু নেই । যেহেতু আজাব গজব আর মুসিবতের চাইতে আল্লাহর কাছে রহমতের পাল্লা ভারী সেহেতু , আমরা যদি খালেস নিয়তে আল্লাহর কাছে ক্ষমা ভীক্ষা চাই , তাহলে নিমিষেই তিনি রহমানুর রাহিম নামের গুণে মাফ করে দিতে পারেন । আল্লাহ শুধু কুন্ ফাইয়াকুন্ বল্লেই তাৎখনিক তা হয়ে যায় সুতরাং আল্লাহকে মনে প্রানে ডাকুন আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন । তিনি নিশ্চয়ই কুদরতি ইশারায় সব মুশকিল আছান করে দিবেন। আশাকরা যায় ২০ রমজানের মধ্যেই আল্লাহ চাহেত করোনা ভাইরাসের তান্ডব শেষ হতে পারে । কারন , ২০ রমজানের পর আসমান থেকে অগনিত রহমতের ফেরেশতা জমিনে আগমন করবেন। তাই গজব আর রহমতের ফেরশতা একসংগে থাকতে পারেনা।
তাছাড়া মহা পবিত্র রজনী লায়লা তুল কদর এই রমজান মাসের ২৬ কিংবা ২৭ তারিখেই অনুষ্ঠিত হবে । এসময় রহমতের ফেরেশতাদের পাশাপাশি হযরত জীব্রাইল (আঃ) ও আল্লাহর জমিনে আগমন করবেন। অতএব এই উছিলায় হয়তোবা তামাম জমিনের মানুষ গুলোকে আল্লাহ পাক ক্ষমা করে দিতে পারেন।
হাদিস শরিফে বর্নিত আছে ২০২০সালের রমজান মাসের ১৮ কিংবা ২০ রোজার যে কোন ভোর রাতে সুরাইয়া তারা উদিত হবে ।আল্লাহ তাআলার কুদরতি ইশারায় ঐ তারকার প্রভাবে জমিনের সমস্ত বালা মুসিবত দূর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। সত্যি সত্যি এটা যদি হয়ে যায় , তাহলে গোটা মানব জাতির জন্য হবে পার্থিব জগতের শ্রেষ্ঠ অর্জন।
তাই আসুন রহমত, নাজাত আর মাগফেরাতের এই রমজান মাসে আল্লাহ তায়ালার হুকুম আহকাম পালনের মধ্য দিয়ে বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করে যেন তার নৈকট্য লাভ করতে পারি । আমিন।