নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) চিকিৎসায় রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে দুই হাজার চিকিৎসক ও পাঁচ হাজার ৫৪ জন নার্স নিয়োগের সুপারিশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) পিএসসি থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৩৯তম (বিশেষ) বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তালিকা গত বছরের ৩০ এপ্রিল প্রকাশ করা হয়। পদ স্বল্পতার কারণে ক্যাডার পদে সুপারিশ প্রাপ্ত নন এমন ৮ হাজার ১০৭ জন প্রার্থীদের মধ্য হতে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের সহকারী সার্জন পদে নিয়োগের জন্য যথাযথ বিধি-বিধান অনুসরণপূর্বক ২ হাজার জন প্রার্থীকে পিএসসি থেকে সাময়িকভাবে চিকিৎসক পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
অপরদিকে, সারাদেশে হাসপাতালগুলোতে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ এবং কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে ৫ হাজার ৫৪ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য সাময়িক সুপারিশ করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
তবে অতি সম্প্রতি বিজ্ঞপিত কিন্তু আবেদন করা প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন হয়নি এমন সিনিয়র স্টাফ নার্সের পদগুলো সংরক্ষিত রেখে পাঁচ হাজার ৫৪ জনকে সুপারিশ করা হয় বলে জানায় পিএসসি।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার নিয়োগের চাহিদাপত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পিএসসিতে আসে। ওই চাহিদাপত্রে দ্রুত নিয়োগ নিষ্পত্তি করার তাগিদ দেওয়া হয়। পরে এ নিয়ে ওইদিনই বিশেষ সভা ডাকে পিএসসি। নিয়োগগুলো কীভাবে দেওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয় ওই সভায়।
পিএসসি সূত্র জানায়, প্রথমে ৩৯তম বিসিএসে অপেক্ষমাণ তালিকার চিকিৎসকদের ননক্যাডার হিসেবে নিয়োগ করার কথা থাকলেও এই ২ হাজার চিকিৎসককে ক্যাডার হিসেবেই নেওয়া হচ্ছে। তারা প্রথম শ্রেণির ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচিত হবেন। ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে পিএসসি থেকে ৪ হাজার ৭৯২ জন চিকিৎসক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এরপরই ৩৯তম বিসিএসে পাস করা উত্তীর্ণ ননক্যাডার ৮ হাজার ৩৬০ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। ফেব্রুয়ারিতে এই তালিকা থেকে মেধার ভিত্তিতে পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আরো ৫৬৪ জনকে মেডিকেল অফিসার হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি।
পিএসসি জানায়, অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে মেধার ভিত্তিতে কীভাবে দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগ করা যায়, তা নিয়ে দ্রুতগতিতে কাজ করছেন তারা। মেধার ভিত্তিতেই ২ হাজার চিকৎসক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।