চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় যথাযথ সরকারি উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশে ১ জন মানুষও না খেয়ে মরেনি বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, করোনার প্রভাবে আজকে একটি মাস দেশের সমস্ত কর্মকাণ্ড বন্ধ। কিন্তু ১ জন মানুষও বাংলাদেশে না খেয়ে মৃত্যু বরণ করেনি। আমি বলবো- এটাই সরকারের সফলতা।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আয়োজিত ত্রাণ বিষয়ক সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে ১৭ লাখ টন খাদ্য মজুদ ছিলো। করোনা সংকট মোকাবিলায় এর মধ্যে ১ লাখ টন খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। আরও ৬ লাখ টন খাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার গত কয়েক বছর ধরে ৫০ লাখ পরিবারকে মাসে ৩০ কেজি করে চাল কেজিপ্রতি ১০ টাকায় বছরে ৭ মাস বিতরণ করছে। প্রধানমন্ত্রী আরও ৫০ লাখ পরিবারকে এর আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন। এর মাধ্যমে প্রায় ৫ কোটি মানুষ উপকার পাবে।
‘এর বাইরে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, পঙ্গু ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ নানা ধরনের ভাতা এবং ১৪৪টি কর্মসূচির মাধ্যমে আরও ১ কোটি মানুষ সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে আছে। অর্থাৎ প্রায় ৬ কোটি মানুষ- দেশের এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে আছে। এটি বিরল।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি ঢাকা অঞ্চলের চেয়ে অনেক ভালো আছে। আমরা যাতে এই পরিস্থিতি রক্ষা করে যারা ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের দ্রুত সুস্থ করে তুলতে পারি সেটা নিয়ে সভায় আলোচনা করেছি।
‘কীভাবে করোনা রোগীদেরকে আলাদা করে চিকিৎসা দেওয়া যায়, ভবিষ্যতে আরও রোগী বাড়লে কীভাবে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হবে, যারা ভালো আছেন- তাদের কীভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেওয়া যায়, এসব নিয়ে কথা বলেছি।’
হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারকে একই সঙ্গে দু’টি বিষয়ে ভাবতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জীবন যেমন রক্ষা করতে হবে, তেমনি জীবিকাও রক্ষা করতে হবে। জীবন এবং জীবিকা দু’টি রক্ষাকল্পেই আমরা আজকে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় করোনা ভাইরাসের প্রভাবে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম ও অন্যান্য বিষয় সমন্বয়ের জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্ব সমন্বয় সভা শুরু হয়।
সভায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক ও সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।