শুভ আহমেদ
গোলির দুপাশ দিয়ে বেড়ে উঠেছে পাহাড়ের মতো উঁচু উঁচু দালান। দালান গুলো যেনো একেকটা নির্জীব পড়ে আছে দিন দুপুরে বন্ধ জানালা আর শূন্য বেলকনি নিয়ে।
অই বেলকনিতে সন্ধ্যা এলে বোবা আলো জ্বলছে, জ্বলছে ল্যাম্পপোস্টও।
একটি কুকুর টান টান হয়ে পড়ে আছে সে আলোর নিচে। ওর নাম ভুতো। এই সোসাইটির কেউ একজন এই নাম দিয়েছিল তাকে। সে বেশ আগেকার কথা। সেই যে শিশু ভুতো কোনো মনুষ্যের পিছু ধরে এসেছিল এই গোলিতে আর অন্যত্র যাওয়া হয়নি কখনো। আজ পর্যন্ত এভাবেই আছে সে। আছে এই শহরের ঘর গুলো আবার খোলবার প্রার্থনায়, আবার খাবার পাওয়ার প্রার্থনায়, আবার কেউ একজন হাত দেখিয়ে বলবে, ‘ভুতো !, নে !, নে!, ভুতো !,’ এই প্রার্থনায়।
যেই ফর্সা মেয়েটি নয়টা পাঁচটা অফিস করে বিস্কুট দিতো গোলির মাথা হতে বাড়ি আব্দি। বলতো, ‘এই দেখ আজও তোর জন্য কী এনেছি, দেখ !, দেখ !, ‘
সেও হয়তো আসবে, যে চলে গেছে।
গত সম্পাহের এক রাতে যখন স্ট্রেচারে শোয়া অই ফর্সা মেয়েটি একবার ভুতোকে দেখেছিল ;
ভুতোও দেখেছিল মেয়েটির বুক কেমন বারবার দালানের মতো পাহাড় হয়ে ভেঙে পড়ার দৃশ্য।
এরপর একটি সাদা রঙা গাড়ি লাল-নীল দুঃখ, কষ্টের আলো ছড়িয়ে মুহূর্তেই হারিয়ে গিয়েছিল