মিজানুর রহমান ঝিলু: করোনার সুযোগ নিয়ে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা নদীতে চলছে অবাধে জাটকা ইলিশ নিধন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এ সময়ে আইনশৃ্ঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাধারণ মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকায় অসাধু মাছ শিকারি ও বিক্রেতারা এ সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। গত এক মাসে প্রায় ৭ মেট্রিক টন জাটকা ইলিশ নিধন করেছে অসাধু জেলেরা।
মাওয়া নৌপুলিশ গত ১৯ মার্চ উপজেলার মাওয়া মৎস্য আড়তে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৫শ’ কেজি জাটকা জব্দ এবং বিক্রেতা শ্রীধাম ও ক্রেতা কানু নামে দুজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত ৭ এপ্রিল মাওয়া চৌরাস্তায় অভিযান চালিয়ে ৩টি পিকআপ ভ্যানসহ প্রায় ২ হাজার ৪০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। ওইদিন সকাল ৭টার দিকে মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সিরাজুল কবিরের নেতৃত্বে একদল নৌ পুলিশ সদস্য অভিযান চালিয়ে চৌরাস্তার কাছে অভিযান চালিয়ে ঢাকামুখী ৩টি পিকআপ আটক করা হয়। এ সময় পিকআপ হতে ২ হাজার ৪০০ কেজি জাটকা উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ভ্যানে থাকা ৫/৬ জন লোক দৌড়ে পালিয়ে যায়।
সর্বশেষ গত ১৫ এপ্রিল ভোরে শিমুলিয়া ঘাটে অভিযান চালিয়ে ৪ মেট্রিক টন জাটকা ইলিশসহ ২টি ট্রাক আটক করে নৌপুলিশ। এ সময় অবৈধভাবে জাটকা বহনের দায়ে আটক করা হয় ৬ ব্যক্তিকে। ভ্রাম্যমাণ আদালত আটক ৬ জনকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেয়। মাওয়া নৌপুলিশ ফাড়ির পরিদর্শক মো. সিরাজুল কবির জানান, ট্রাক দুটির একটি শরীয়তপুর ও অপরটি বরিশাল থেকে ঢাকার কাওরান বাজার যাচ্ছিল। জেলেরা অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর কেন এত বেশি জাটকা ইলিশ শিকার করতে পারছে – এ প্রশ্নের জবাবে উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ইদ্রিস তালুকদার জানান, উপজেলা প্রশাসনের সব দপ্তরের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বিভিন্ন আইনশৃ্ঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জনসাধারণের মাঝে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ নানা কাজে লিপ্ত থাকার সুযোগ নিয়েছে অসাধু জেলেরা।