রামপালে সদ্য বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেমের সংবাদ সম্মেলন 

প্রকাশ : 2024-05-12 19:35:07১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

 রামপালে সদ্য বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেমের সংবাদ সম্মেলন 

 রামপাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত ও বর্তমান চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। রবিবার বেলা ১১ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জামিল হাসানের অসত্য তথ্য প্রদান করে সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে তারা এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদ্য বিজয়ী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন এক জনাকীর্ণ পরিবেশে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, গত ইংরেজি ০৮-০৫-২০২৪ তারিখ প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর ই ধারাবাহিকতায় রামপাল উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশনের দৃঢ় পদক্ষেপে অবাধ, নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। যা ইতিমধ্যে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হয়েছে।

অত্যান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নিরপেক্ষ নির্বাচনে আমার প্রতিপক্ষ জামিল হাসান জামু কাপ পিরিচ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সামান্য ভোটের ব্যবধানে সম্মানিত ভোটারগণের রায়ে আমি আনারস প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করি।

নির্বাচন চলাকালীন সময়ের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জামিল হাসান কোনই অভিযোগ করেননি। গত ৮ মে নির্বচন শেষ হওয়ার পরের দিন অর্থাৎ ৯ মে রাতে সাংবাদিকদের ডেকে সংবাদ সম্মেলন করে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যা খুবই হাস্যকর। নির্বাচনকালীন সময়ে পুলিশ, বিজিবি, আনসার সদস্যরা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় ১২ জন বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন। এরপরেও যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা মূলত সরকারের নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জামিল হাসানের আনিত অভিযোগ আদৌ সত্য নায়। তিনি অসত্য, মনগড়া ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়েছেন। আমি সম্মানিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আহবান জানাচ্ছি যে, দয়া করে নিরপেক্ষ নির্বাচনকে নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না। যারা নেপথ্যে থেকে ষড়যন্ত্র করছে তাদের অশুভ ষড়যন্ত্র সফল হবে না। আমি জনগণের রায় মাথা পেতে নিয়েছি। আগামী ৫ বছর জনগণের সাথেই থাকবো ইনশাআল্লাহ।

সংবাদ সম্মেলনে ওই সময় তার সাথে ছিলেন, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোল্লা আ. রউফ, অধ্যক্ষ মোতাহার রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মোজাফফর হোসেন, সদ্য বিজয়ী ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল হক লিপন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা মিলি, মো. হামীম নূরী, সদর চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন, চেয়ারম্যান তপন গোলদার, চেয়ারম্যান তালুকদার সাবির আহমেদ, চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল্লাহ, চেয়ারম্যান সুলতানা পারভীন ময়না, সরদার বোরহান উদ্দিন প্রমুখ। এ সময় উপজেলার ১০ ইউনিয়নের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।