৪০ কারিগর ১৮০০ ঘণ্টা ধরে বানিয়েছেন এই শাড়ি!
প্রকাশ : 2021-12-15 10:25:19১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
একে একে সামনে আসছে সব ছবি। বিয়ের আগপর্যন্ত কেউ প্রেমের কথা ঘুণাক্ষরেও স্বীকার করেননি। একেবারে বিয়ের ছবি দিয়ে জানালেন, যা রটেছিল, তা ঘটেছিল। প্রথমে এল বিয়ের ছবি, এরপর গায়েহলুদ, তারপর মেহেদি আর সর্বশেষ এবার এল ‘প্রি-ওয়েডিং ফেস্টিভ্যাল’-এর ছবি। এ যেন শেষ থেকে শুরু। প্রতিটি আয়োজনেই ক্যাটরিনা ভরসা করেছেন বাঙালি ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের ওপর। আর প্রি-ওয়েডিং ফটোশুটের জন্য এই ব্রিটিশ বলিউড তারকা পরেছিলেন শাড়ি। তবে সেটা ব্রিটিশ ঐতিহ্য মাথায় রেখে।
ক্যাটরিনা কাইফ প্রি-ওয়েডিং ফটোশুটে পরেছিলেন সব্যসাচীর ডিজাইন করা শাড়ি। ‘ভিন্টেজ’ আইডিয়া থেকে অনুপ্রাণিত উৎসবের মুডে বানানো হাল ফ্যাশনের এই শাড়ি পুরোটাই হাতে তৈরি। শাড়ির সঙ্গে লম্বা ঘোমটা টেনেছিলেন ক্যাটরিনা। পশ্চিমা বিয়েতে সাদা গাউনের সঙ্গে যে ধরনের ঘোমটা পরা হয়ে, অনেকটা সে রকম। এই পোশাকের মাধ্যমে মাকে সম্মান জানান তিনি।
ক্যাটরিনার মা সুজান ব্রিটিশ। অন্যদিকে বাবা মোহাম্মদ কাইফ ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ক্যাটরিনা যখন খুব ছোট, তখন তাঁর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। মা একা হাতে বড় করেছেন ক্যাটরিনাকে। তাই বিয়ের বিভিন্ন আয়োজনের একটিতে মাকে উৎসর্গ করে এই পোশাক পরেছেন তিনি। পুরো শাড়িতে হাতে সেলাই করা নানান ব্রিটিশ ফুল। এদিন ক্যাটরিনার হাতেও ছিল ব্রিটিশ ফুলের তোড়া। শাড়ি, হাতাওয়ালা ব্লাউজ আর ওড়না বানাতে ৪০ জন কারিগরের ১ হাজার ৮০০ ঘণ্টা সময় লেগেছে।
শাড়ির সঙ্গে ক্যাটরিনা গলায় পরেছিলেন হিরের চোকার। সেই চোকারে আরও ছিল ‘আনকাট’ রাশিয়ান নানা রঙের আলো ছড়ানো চুনি আর পান্না। কানের দুলও নেওয়া হয়েছে সব্যসাচী জুয়েলারি থেকে।
এদিকে এদিন বর, বলিউড তারকা ভিকি কৌশনের পরনে ছিল সিল্কের শেরওয়ানি। আর ম্যাচিং করা চুড়িদার। এই শেরওয়ানির কাপড়টি বেঙ্গালুরু থেকে বিশেষভাবে অর্ডার করে বানানো, আনানো। আর শেরওয়ানির বোতামে ছিল সব্যসাচীর ‘সিগনেচার স্টাইল’ স্বর্ণখচিত রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মিনিয়েচার।
প্রি-ওয়েডিংয়ের এই ছবিগুলো তুলেছেন ফ্যাশন ও পোর্ট্রেট আলোকচিত্রী এরিকস এন্ড্রু। ক্যাটরিনা কীভাবে সাজবেন, তার নির্দেশনা দিয়েছেন স্টাইলিস্ট আনিতা শ্রফ আদজানিয়া। ভিকি কৌশলকে সাজিয়েছেন আমান কৌর। দুজনের কেশসজ্জা করেছেন আমান কৌর। দুজনের মেকআপ করেছেন ড্যানিয়েল বাউয়ার। আর বিয়ের সব পরিকল্পনা ও আয়োজন করেছে শাদি স্কোয়াড।