৩ দফা দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে জবি শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা

প্রকাশ : 2024-11-11 14:42:11১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

৩ দফা দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে জবি শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবি ও ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টার পর সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে জবি ক্যাম্পাস থেকে এ পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘আমি কে, তুমি কে, জবিয়ান, জবিয়ান’; ‘মুলা না ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস’; ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম, সংগ্রাম’; ‘অধিকার না অন্যায়, অধিকার, অধিকার’ ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

আন্দোলনের সংগঠক একেএম রাকিব বলেন, ‘আমরা আজ মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেবো। পাশাপাশি তিন কার্যদিবসের সময় দেবো। শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবি হলো- স্বৈরাচারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং ৭ দিনের মধ্যে প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ করতে হবে; শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা আসতে হবে যে সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল); অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরোনো ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সব অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।’

এর আগে গত ৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান ও অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি সুবিধা দেওয়ার জন্য অর্থ সংস্থান নিশ্চিত করতে ‘হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রকল্প’ সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে ইউজিসি। এই প্রস্তাবনার অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে পাইলট প্রকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

আন্দোলনের মুখপাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, ‘আমরা আমাদের দাবিগুলোর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তিনদিনের একটি আল্টিমেটাম দেবো এবং হিট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে আজকের মধ্যেই লিখিত দিতে হবে।’

কা/আ