১৯ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
প্রকাশ : 2023-06-05 18:11:42১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে হিলি স্থলবন্দরেরর আট আমদানিকারক ১৯ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে সোমবার [০৫ জুন] সন্ধ্যার মধ্যে দেশে ঢুকবে আমদানিকৃত পেঁয়াজ। সেইসঙ্গে ৩০ টাকার মধ্যে থাকবে দাম।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সোমবার দুপুরে আমদানির অনুমতিপত্র হাতে পেয়েছি। এরপর ভারতীয় রফতানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আশা করছি, সন্ধ্যার মধ্যে আমদানি শুরু হবে।’
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, ‘সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত স্থলবন্দরের আট আমদানিকারক ১৯ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র পেয়েছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়ছে। বন্দরে পেঁয়াজ এলেই দ্রুত খালাসের কথা বলা হয়েছে।’
এদিকে, আমদানির ফলে দেশের বাজারে দ্রুত কমছে দাম। রবিবার (০৪ জুন) পাইকারিতে যে পেঁয়াজের কেজি ৮৫ টাকা বিক্রি হয়েছিল; আজ তা ৭০ টাকা। গতকাল খুচরা বাজারে ৯০ টাকা বিক্রি হলেও আজ ৭৫ টাকা। একই অবস্থা সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জেও। রবিবার যে পেঁয়াজের কেজি ৯০ টাকা বিক্রি হয়েছিল, তা আজ ৭০ টাকা।
আমদানির ফলে দেশের বাজারে দ্রুত কমছে পেঁয়াজের দাম।
পেঁয়াজের দাম কমায় খুশি নিম্নআয়ের মানুষজন। আমদানি শুরু হলে আরও দাম কমবে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।
আমদানি শুরু হলে ৩০ টাকার মধ্যে পেঁয়াজের দাম নেমে আসবে বলে জানালেন হিলি স্থলবন্দর আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার মেট্রিক টন আমদানির অনুমতিপত্র পেয়েছেন আমদানিকারকরা। আজই আমদানি শুরু হবে। কোনও কারণে যদি আজ আমদানি না হয় তাহলে মঙ্গলবার সকাল থেকে অবশ্যই হবে। এতে দেশে পেঁয়াজের দাম নিয়ে যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার অবসান হবে।’
শুল্কসহ আমদানিকৃত পেঁয়াজের কেজি ২০ টাকা পড়বে উল্লেখ করে হারুন উর রশীদ বলেন, ‘আমদানিকারকদের সব খরচ মিলিয়ে ২০ টাকার মধ্যে থাকবে কেজি। আমদানিকারকরা একটু লাভে বিক্রি করলে খুচরা বাজারে ৩০ টাকার মধ্যেই থাকবে দাম।’
সবকিছু ঠিক থাকলে সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে দেশে ঢুকবে আমদানিকৃত পেঁয়াজ।