১৮ ঘণ্টায়ও নেভেনি আগুন, এক লাখ মেট্রিক টন চিনি পোড়ার দাবি
প্রকাশ : 2024-03-05 11:15:14১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানায় দেশের অন্যতম ব্যবসায়ী শিল্পগোষ্ঠী এস আলমের মালিকানাধীন এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের গুদামে আগুন লেগে প্রায় এক লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি পুড়ে গেছে । এই চিনি আসন্ন রমজান উপলক্ষে আমদানি করা হয়েছিলো।
বিকাল ৩টা ৫৫ মিনিটে কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জারটেক এলাকায় অবস্থিত চিনিকলে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা বলেন, “আমাদের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। এছাড়া রোবটিং ফায়ার ফাইটিং পদ্ধতিতেও সেখানে পানি ছিটানো হচ্ছে।”
ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও। এদিকে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ঘটনা তদন্তে গঠন করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জানান , “গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পুরোপুরি নেভেনি। আমাদের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। এছাড়া রোবটিং ফায়ার ফাইটিং পদ্ধতিতেও সেখানে পানি ছিটানো হচ্ছে।”
কর্ণফুলী ইছানগর এলাকায় এস আলম সুগার রিফাইনারি মিলে পিছনের অংশে আগুন লাগে। ক্রমে তা ছড়িয়ে পড়ে অপরিশোধিত চিনি রাখার গুদামে। মিলটিতে বিভিন্ন ইউনিটে তিন শিফটে শ্রমিকরা কাজ করলেও, আগুন লাগা গুদামটিতে অধিকাংশ কাজই যান্ত্রিক উপায়ে সম্পন্ন হতো বলে কম শ্রমিক কাজ করত।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, অপরিশোধিত চিনি বাইরে থেকে গুদামে নিয়ে যাওয়ায় বেল্টের অংশে প্রথমে তারা আগুন দেখতে পান। পরে তা পুরো গুদামের জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
এস আলম গ্রুপের মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফয়সালের দাবি, সেখানে এক লাখ মেট্রিক টনের মতো অপরিশোধিত চিনি ছিলো। এর বাইরে আরও পরিশোধিত চিনি ছিলো। এগুলো রমজানের জন্য ব্রাজিল থেকে আমদানি করা হয়েছিলো। এখানে পরিশোধিত হয়ে মার্কেটে যাওয়ার কথা ছিল। সব মিলিয়ে কী পরিমাণ চিনি ছিলো, তা এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। কারণ, চার লাখ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার ইউনিট এটি। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি আমরা।
সা/ই