হাসপাতালের মানের প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রকাশ : 2022-09-01 15:51:00১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
হাসপাতালের মানের প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সেই সঙ্গে ভালো কাজ করলে সহযোগিতার পাশাপাশি মানহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস উপলক্ষে ‘কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ অতিক্রমে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অদম্য যাত্রা’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি মোকাবিলায় সারাদেশে প্রায় ১১ হাজার বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার কাজ করেছে। তবে সম্প্রতি এদের অনেকের সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যারা ভালো করবে আমরা তাদের সহযোগিতা করবো। একই সঙ্গে যারা অন্যায় করবে, মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করবেন, তাদের সঙ্গে আমরা নেই। আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে যাতে ঠিকমতো চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও যন্ত্রপাতি থাকে, সেদিকে কঠোর নজর দিচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে অভিযান চলছে। আমরা কাউকে হেনস্থা করতে চাচ্ছি না।
জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভূমিকায় সফলতার সঙ্গে করোনা মোকাবিলা করেছি। ফলে বিশ্বে করোনা মোকাবিলায় আমরা পঞ্চম ও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম হয়েছি। করোনা নিয়ন্ত্রণ ও ভ্যাকসিনেশনের মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা বেড়েছে।
দেশের প্রায় ৭৫ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার সময়ে অসংক্রামক রোগ নিয়ে কাজ করতে পারিনি, এখন তা করা হচ্ছে। দেশে অসংক্রামক রোগে ৬৭ ভাগের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়, তাই এটাতে গুরুত্ব দিতে হবে। একইসঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিকের অযাচিত ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
এ সময় দেশে এখনও আট থেকে ১০ কোটি মানুষ বুস্টার ডোজের বাইরে রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী সকলের বুস্টার ডোজ নিশ্চিতে আগামী ৪ জুন থেকে বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইন শুরু হবে বলে জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মুহাম্মদ খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত