সড়ক নির্মাণে তদারকির অভাব পঞ্চগড়ে কাজের মান নিয়ে ক্ষোভ

প্রকাশ : 2025-01-15 18:53:29১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

সড়ক নির্মাণে তদারকির অভাব পঞ্চগড়ে কাজের মান নিয়ে ক্ষোভ

উপজেলা পর্যায়ে কাজের সুষ্ঠু তদারকির অভাব। ফলে কাজের মান নিয়ে অসন্তোষ মাঠ পর্যায়ে। উপজেলা প্রকৌশলীর আওতায় কাজের পরিধি কম থাকায় জেলা পর্যায়ে (নিবার্হী প্রকৌশলী) কাজের দেখভাল করেন উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর।প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাঠ পর্যায়ে বার্ষিক উন্নয়ন তহবিলে প্রতি বছর নির্ধারিত প্রকল্প গ্রহন করার তা দরপত্রের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা  কার্যাদেশ পাওয়ার পর এসব প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।

তবে পঞ্চগড়ের পাঁচটি উপজেলায় খোজ নিয়ে জানা যায় চলতি অর্থবছরে (২০২৫-২৬) উপজেলা প্রকৌশলীগন প্রকল্প অনুমোদন বা দরপত্র আহবান করেননি। উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিগন এখন নির্বাহী প্রকৌশলী(এলজিইডি) দপ্তরের প্রকল্পগুলো দেখভালের কাজে দায়িত্ব পালন করছেন।

এদিকে গত সোমবার দেবীগঞ্জ উপজেলার ডাডুয়ার হাট থেকে ফুলবাড়ি বাজার সড়ক পর্যন্ত ২৭৮৫মিটার( প্রায় তিন কিলোমিটার) কাজের সময় কাজের মান নিয়ে অভিযোগ তোলে সেখানকার স্থানীয় জনগন। জিওবি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৬০ লাখ টাকার বিপরীতে নতুন রাস্তা এটি। এসময় কার্পেটিং কাজ নিয়ে সরগল করে সেখানকার কতিপয় বাসিন্দা। তারা অভিযোগ করেন প্রায় ৭দিন হয় কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হয়। এসময় দুইজন বাসিন্দা কার্পেটিংয়ের কাজে ব্যবহৃত বিটুমিন ও পাথরের সাইজ নিয়ে অভিযোগ তোলেন। এসময় ওই সাইডে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন (শ্রমিক -মিস্ত্রী) ছাড়া কেউ উপস্থিত ছিলেন না। মিকচারিং বা প্লান মেশিন চালুর স্থানেও কোন প্রকৌশলী বা কার্যসহকারীকে পাওয়া যায়নি।

এসময় সংবাদ কর্মী অভিযোগ পাওয়ার পর কার্পেটিং করার স্থানে হাজির হলে কয়েকজন স্থানীয় মানুষ সড়কে ছুটে আসেন। এসময় বলতে থাকেন যে ভাবে কাজ করা হয়েছে তাতে এ সড়ক ৭ দিনও টিকবেনা। সড়কের বিটুমিন মিকচারিং পাথর তুলে বলেন এই তো পাথর এখুনি উঠে আসছে। আমরা ভালো রাস্তা চাই। এসময়  ওই এলাকার (হাজরা ডাঙ্গা) বাসিন্দা  শফিকুল ইসলাম বলেন আমরা তো এখানে থাকি। কেউতো চাঁদা নিতে আসেনি। কাজ কেনো খারাপ হবে। এসময় উপসহকারী প্রকৌশলী ফজল হক ও কার্যসহকারী তমিজ উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন। গনমাধ্যমকর্মী মুঠোফোনের কাজের মান খারাপ হচ্ছে এমন অভিযোগ পেলে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সাথে সাথে উপজেলা প্রকৌশলীকে তাগিদ দিলে ওই দুই কর্মচারী উপসহকারী ও কার্যসহকারী সেখানে হাজির হন। তাদের অনুপস্থিতিতে কাজ কেনো চলছিল এর উত্তরে তারা বলেন আমরা খেতে গিয়েছিলাম। আর প্লান মেশিনটাও খারাপ হয়েছিল।  

সড়কের দুধারে কেনো এঙ্গেল ব্যবহার করা হচ্ছেনা এ বিষয়ে তেমন সন্তোষজনক উত্তর দেননি উপসহকারী ও কার্যসহকারী।উপস্থিত ফজল হক বলেন না কাজ ভালো হচ্ছে। কোন খারাপ হচ্ছে না। তিনি বলেন সড়কের কেক তুলে নিয়ে গেছে, এক্্েরন স্যার। লেখার কোন অপশন নাই‘ কি লিখবেন।