সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি  

প্রকাশ : 2024-02-11 17:09:33১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি  

দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে সরকারি উদ্যোগে বিআরটিএর অধীনে প্রাথমিক উৎস থেকে পূর্ণাঙ্গ ডাটা ব্যাংক চালু করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। প্রাতিষ্ঠানিক অকার্যকারিতা সংস্কার করা জরুরি বলেও মনে করে সংস্থাটি। দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমাতে সড়কে সুশাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি বলে অভিমত দেন বক্তারা

রবিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত ‘এসডিজি’র লক্ষ্য অর্জনে সরকারি উদ্যোগে প্রাথমিক উৎস থেকে সড়ক দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ডাটা ব্যাংক চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

সভায় যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘সড়কের দুর্ঘটনা, প্রাণহানির চিত্র দেখলে মনে হয় দেশের সড়কে একটি ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে।

আমাদের সীমিত সামর্থ্যরে কারণে প্রাথমিক উৎস থেকে সড়ক দুর্ঘটনার ডাটাবেজ সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। তাই সংবাদপত্র তথা সেকেন্ডারি উৎস থেকে সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি করছি। ফলে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃতচিত্র আমাদের প্রতিবেদনে উঠে আসে না। আমরা মনে করি, দেশের গণমাধ্যমে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত স্থান পায়।

সব সংবাদপত্র আমরা মনিটরিং করতে পারি না, তাই ২০ থেকে ২৫ শতাংশের চিত্র তুলে ধরতে পারি। বিআরটিএ এই সেকেন্ডারি সোর্সের তথ্যকে অতিরঞ্জিত বলে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রাথমিক উৎসগুলোতে সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত অবস্থা কী বা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে সত্যতা কি তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন মনে করছে না। ফলে সরকারের কাছে সড়ক দুর্ঘটনার সঠিক চিত্র পৌঁছায় না। এ কারণে সরকার সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারছে না।’ 

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, ‘বিআরটিএ’র রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২৩ সালে ৫ হাজার ৪৯৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ হাজার ২৪ জন নিহত, ৭ হাজার ৪৯৫ জন আহত হয়েছে। এই সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য বিআরটিএ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এবং জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের সাথে সমন্বয় করে তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করা হলেও এখানে কোনো হাসপাতালের তথ্য নেওয়া হয়নি। বিআরটিএ কর্তৃকপক্ষ তাদের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান সঠিক এবং নির্ভূল মর্মে দাবি করলেও যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে (পঙ্গু হাসপাতাল) ২০২৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ১৪ হাজার৩৫৭ জন রোগী জরুরি বিভাগে ভর্তি হয়েছে। একই সময়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ৯,৮৭৯ জন।

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ৯ হাজার ২৯৩ জন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিত্রও ফুঠে উঠেছে।’