সৌদির পাঠ্যবইয়ের মানচিত্র থেকে মুছে ফেলা হয়েছে ফিলিস্তিনের নাম
প্রকাশ : 2024-05-30 18:00:26১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ সৌদি আরবের পাঠ্যবইয়ে থাকা বেশিরভাগ মানচিত্র থেকে ফিলিস্তিনের নাম মুছে ফেলা হয়েছে।
ইম্পেক্ট-সি নামের একটি ইসরায়েলি এনজিও ও পর্যবেক্ষক সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে। সৌদির পাঠ্যবই গুলোতে গত পাঁচ বছরে কী ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে সেটি নিয়ে গবেষণা করেছে সংস্থাটি। সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রকাশ হওয়া ৩৭১টি পাঠ্যবই পর্যালোচনা করেছে এবং খুঁজে বের করেছে বইগুলো থেকে কী কী বাদ দেওয়া হয়েছে, পরিবর্তন করা হয়েছে এবং কোন বিষয়গুলো রাখা হয়েছে।
এই গবেষণায় দেখা গেছে— দ্বাদশ শ্রেণির সামাজিক শিক্ষার একটি বই যেটিতে ‘ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন একটি বর্ণবাদ’ নামের বিষয় ছিল— সেই বইটি ২০২৩ সাল থেকে পড়ানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আরেকটি বই যেটি এখনো পড়ানো হচ্ছে, কিন্তু সেটি থেকে ফিলিস্তিনের আন্দোলন বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়েছে।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, পঞ্চম ও নবম শ্রেণির সামাজিক শিক্ষা বইয়ে থাকা মানচিত্রে ইসরায়েল বা ফিলিস্তিন কারওই নাম নেই। অথচ ২০২২ সালে এ দুই শ্রেণির বইয়ের মানচিত্রে শুধুমাত্র ফিলিস্তিনের নাম রাখা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ফিলিস্তিনের নামও মুছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা ও ভূগোল বইয়ের মানচিত্রে যে প্রাচীন ফিলিস্তিনের মানচিত্র ছিল সেটিও মুছে ফেলা হয়েছে।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “সৌদির সঙ্গে সীমান্ত নেই যেসব দেশের, বেশিরভাগ মানচিত্র থেকে সেসব দেশের নাম মুছে দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ফিলিস্তিনিও রয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় সব দেশের নাম মুছে দেওয়া হয়েছে।”
সৌদির ২০২১ সালের পাঠ্যবইয়ে দখলদার ইসরায়েলকে ‘জায়নিস্ট বা ইহুদিবাদী’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছিল। কিন্তু ২০২২ সালে এটি মুছে দেওয়া হয়। এমনকি ফিলিস্তিনের প্রতি সৌদি এবং আরব বিশ্বের সমর্থন বিষয়ক একটি বই ২০২৩ সালে পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, হাইস্কুলের সামাজিক শিক্ষার একটি বইয়ে আগে ইসরায়েলকে ‘ইহুদিবাদী শত্রু’ হিসেবে অভিহিত করা হত। কিন্তু এটি পরিবর্তন করে ‘ইসরায়েলি দখলদার সেনাবাহিনী’ করা হয়েছে। একই বইয়ে ‘ইসরায়েলি শত্রু’ পরিবর্তন করে ‘ইসরায়েলি দখলদার’ করা হয়েছে। আর ‘ইহুদিবাদী’ পরিবর্তন করে করা হয়েছে ‘ইসরায়েলি’।
সূত্র: মিডল ইস্ট আই
সা/ই