সুস্থতার দিকে আবু হেনা রনি
প্রকাশ : 2022-10-12 16:15:47১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
যে মানুষটা ‘মীরাক্কেল’ মঞ্চ থেকে অসংখ্য নাটক-অনুষ্ঠানে মানুষকে প্রাণখুলে হাসার খোরাক জুগিয়েছেন, সেই রনি ২৫ দিন হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বেলুন বিস্ফোরণে গুরুতর আগত হন এই অভিনেতা-সঞ্চালক-স্ট্যাডআপ কমেডিয়ান।
তবে আশার কথা, এরমধ্যেই তিনি সুস্থতার পথে। শুরু থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, রনির ডান হাত ভালো হয়েছে। বাঁ হাতের ক্ষত শুকাতে কিছুটা সময় লাগবে। আগামী সপ্তাহে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে।
এদিকে এই দুর্ঘটনাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখছেন হাস্যোজ্জ্বল রনি। তিনি তো মনেই করছেন- এই পোড়াটা নাকি দরকার ছিল! তার ভাষায়, ‘এই দুর্ঘটনার পর এত মানুষের এত এত ভালোবাসা পেয়েছি, যা দেখে-শুনে এখন মনে হচ্ছে এই পোড়াটা দরকার ছিল!’ মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বার্ন ইউনিটের ১৩ তলায় কেবিনের বিছানায় বসে হাসতে হাসতে কথাগুলো বলছিলেন রনি।
শরীরের বর্তমান অবস্থা প্রসঙ্গে রনি বলেন, ‘আগে বেশ ব্যথা ছিল শরীরজুড়ে। এখন ব্যথাটা নেই। জীবনে প্রথম এমন ঘটনার মুখোমুখি হয়েছি। ভেবেছিলাম জীবনটা বুঝি এখানেই শেষ। কিন্তু ঘটনার পর মানুষের এত ভালোবাসা পেয়েছি যে তাতে মনে হচ্ছে না পুড়লে এই ভালোবাসার পরিমাণটা বুঝতে পারতাম না।’
গত ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান চলাকালে বেলুন বিস্ফোরণ হয়ে পাঁচ জন দগ্ধ হয়। এ সময় দগ্ধ হন অভিনেতা আবু হেনা রনি, গাজীপুর জেলা পুলিশের কনস্টেবল মোশাররফ হোসেন, গাছা থানার কনস্টেবল রুবেল মিয়া, টঙ্গী পূর্ব থানার কনস্টেবল জিল্লুর রহমান ও গাছা থানার আরেক কনস্টেবল মো. ইমরান হোসেন। ঘটনার পরপরই দগ্ধদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আবু হেনা রনি ও কনস্টেবল জিল্লুর রহমানকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। রনির শরীরের ২৫-৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।