সুবিধা বঞ্চিত নারীদের পাশে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও বিদ্যানন্দ 

প্রকাশ : 2024-05-23 18:28:58১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

সুবিধা বঞ্চিত নারীদের পাশে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও বিদ্যানন্দ 

ঢাকা, ২৩ মে ২০২৪- স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন শহরে বসবাসরত ১৫০ জন সুবিধা বঞ্চিত নারীকে প্রশিক্ষণ, সেলাই মেশিন ও নিজস্ব টেইলারিং ব্যবসা শুরু করার উপকরণ সরবরাহ করতে একসঙ্গে কাজ করছে। প্রকল্পটি নির্বাচিত সুবিধাভোগীদের উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করবে। এ প্রচেষ্টা সামগ্রিকভাবে সুনিদিষ্ট জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নকে জোরদার করবে। 

ফিউচারমেকারস বাই স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড হলো ব্যাংকের একটি ফ্ল্যাগশিপ কমিউনিটি এনগেজমেন্ট প্রোগ্রাম, যা পরবর্তী প্রজন্মকে শিখতে, উপার্জন করতে ও বেড়ে উঠতে সাহায্য করে থাকে। বৈষম্য মোকাবেলা ও বৃহৎ পরিসরে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতের লক্ষ্যে এ প্রোগ্রামের অধীনে বেশ কয়েকটি প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। এই উদ্যোগের একটি মূল স্তম্ভ হল নারীদের উদ্যোক্তা হিসাবে বিকাশের জন্য সহায়তা করা। প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহের মাধ্যমে ব্যাংক প্রত্যেক সুবিধাভোগীকে তাদের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করছে। সেই সাথে তাদের সৃজনশীলতা ও সক্ষমতাকে ব্যবহার করে সমৃদ্ধশালী ব্যবসায় পরিণত করার প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ সরবরাহ করছে । এর ফলে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। 

এটি লক্ষণীয় যে, এই উদ্যোগের প্রভাব একক পরিবারের বাইরেও প্রসারিত – যখন নারীরা শেখার এবং উন্নতি করার সুযোগ লাভ করে, তখন তারা পরিবারের মধ্যে এবং সমাজের মধ্যে উভয় ক্ষেত্রেই উন্নয়নের জন্য অনুঘটক হয়ে ওঠে।  

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর, কান্ট্রি চিফ টেকনোলজি এন্ড অপারেসন্স অফিসার খালেদ আজিজ বলেন, “বাংলাদেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ (টিভিইটি) খাতে নারীদের অংশগ্রহণ সরকারি প্রতিষ্ঠানে ৯ থেকে ১৩ শতাংশ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ৩৩ শতাংশ। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও ক্ষমতায়ন উন্নত করার মধ্য দিয়ে ব্যবধান কমাতে কাজ করছি।   লক্ষণীয় যে, এই উদ্যোগের প্রভাব একক পরিবারের বাইরেও বিস্তৃত। নারীরা যখন শেখা ও বিকাশের সুযোগ পায়, তখন তারা ঘরে এবং সমগ্র কমিউনিটিতে উন্নয়নের অনুঘটক হিসেবে কাজ করে।  

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কিশোর কুমার দাস বলেন, “এই পুরুষতান্ত্রিক বিশ্বে, নিম্ন আয়ের নারীরা মহানগর এলাকায় নানান অনিশ্চয়তায় ভোগেন। পুঁজির অভাবে তাদেরকে বাড়তি উপার্জনের স্বপ্ন দেখানোর মত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের অর্থায়নে শত শত নারীর ক্ষমতায়নের জন্য নেওয়া এই উদ্যোগ তাদের একটি নতুন ভবিষ্যতের সূচনা করতে সাহায্য করবে। এই প্রকল্পের সাথে কাজ করতে পেরে বিদ্যানন্দ গর্বিত। ভবিষ্যতে এমন আরো অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প নিয়ে কাজ করা হবে বলে আমরা মনে করি।”
 
দেশের অগ্রগতির দীর্ঘমেয়াদী অংশীদার হিসাবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও সহনশীলতার অনুপ্রেরণামূলক যাত্রার সঙ্গী হয়েছে।  

১১৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যাংকটি কমিউনিটিসমূহে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাণিজ্য ও উন্নয়নের জন্য কাজ করেছে। বৃহত্তর অন্তর্ভুক্তি ও নতুন সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে পরিষেবার আওতা ও মাত্রা প্রসারিত করেছে।    সামাজিক সম্পৃক্ততা ও টেকসই উদ্যোগ অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের উপর গুরুত্ব দিয়ে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও আর্থিক সাক্ষরতার উন্নতি; কৃষি উদ্ভাবনে সমর্থন; ইতিবাচক সামাজিক রূপান্তরের চালক হিসাবে খেলাধুলা, শিল্পকলা ও সংস্কৃতির প্রচার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করা। 

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে নিবন্ধিত একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন সারা বাংলাদেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করে থাকে এবং বিভিন্ন অত্যাবশ্যক সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড সম্পাদন করে।