সিরাজদিখানে শারদীয় দুর্গোৎসবে মন্দির গুলোতে চলছে সাজসজ্জার প্রস্তুতি
প্রকাশ : 2024-10-06 16:58:17১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
ছেলেবেলার সেই সাজি ভরা পদ্মফুলের শোভা আর শিউলি ফুলের সুমধুর ঘ্রাণ বতমান সময়ে পাওয়া মুশকিল। তবে মা দুর্গা যখন আসেন, প্রকৃতি তখন সোনায় মোড়া। গাছের সব পাতাই হলুদ। এ ভাবেই এখনকার প্রকৃতিতে বেজে ওঠে মায়ের আগমনী বার্তা। দুয়ারে কড়া নাড়ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে মোট ১১৬টি পুজা মন্ডপে শারদীয় দর্গা পূজা উদযাপন উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীরা। সময় কমে আসায় প্রতিমা শিল্পীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। রঙের আঁচড়ে আচঁড়ে ফুটিয়ে তুলছে প্রতিমা।দূর্গা পুজার আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকী।
আসছে ৯ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্যে দিয়ে শুরু হবে সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা। শিল্পীদের নিপুন হাতের ছোঁয়ায় ইতোমধ্যে মাটির কাজ শেষ করে চলছে রঙ তুলির কাজ। শিল্পীর রঙ তুলির আঁচড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে দশভূজা দেবীদুর্গাসহ বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমূর্তী। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবীদুর্গা শক্তি ও সুন্দরের প্রতীক। প্রতি বছর অশ্বরের বিনাশ কল্পে মা দেবী দূর্গা এই ধরাধামে আবির্ভুত হয়। তাই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন সমাজ থেকে অন্যায় অবিচার গ্লানি দূর করার জন্যই এই পূজার আয়োজন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নে ২১টি,শেখরনগর ইউনিয়নে ১৭টি,রাজানগর ইউনিয়নে১১ টি,কেয়াইন ইউনিয়নে ১৮টি,বাসাইল ইউনিয়নে ০৪টি,লতব্দী ইউনিয়নে ০৪টি,রশুনিয়া ইউনিয়নে ১০টি,বয়রাগাদী ইউনিয়নে ০৪টি, ইছাপুরা ইউনিয়নে ০৪টি ,মধ্যপাড়া ইউনিয়নে ০৫ টি,জৈনসার ইউনিয়নে ০৫টি, কোলা ইউনিয়নে ০১টি ও মালখানগর ইউনিয়নে ১১টি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিরাজদিখান উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জ্ঞানদীপ ঘোষ। বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, মন্ডপে মন্ডপে প্রতীমা স্থাপন করা হচ্ছে। মৎশিল্পীদের নিপুন হাতের ছোঁয়ায় প্রতীমাগুলো আসলরূপে ফুটে উঠছে। শিল্পীরা প্রতীমার রং-সাজসজ্জাসহ বিভিন্ন কাজকর্ম করে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে সনাতন ধর্মালম্বীদের মাঝে এক ধরণের বাড়তি আনন্দ-উৎসব বিরাজ করছে। এরই মধ্যে সোমবার সিরাজদিখান উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ইউএনও সাব্বির আহম্মেদের সভাপতিত্বে শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সিরাজদিখান থানার ওসি খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, পুজা মন্ডপের সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। শান্তিপর্ণভাবে শারদীয় দুর্গাৎসব হবে। অপ্রীতিকর কোন ঘটনার সৃষ্টি হলে আমাদেরকে জানাবেন। পূজা মন্ডপগুলোতে সার্বিক নিরাপত্তার কাজে পলিশ সদস্যরা উপস্থিত থাকবে। এর পাশাপাশি র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্য মাঠে কাজ করবেন।