সিরাজদিখানে মামলা তুলে না নেয়ায় বাদিকে ডেকে নিয়ে মারধর

প্রকাশ : 2024-09-21 10:48:29১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

সিরাজদিখানে মামলা তুলে না নেয়ায় বাদিকে ডেকে নিয়ে মারধর

মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানে মামলা না তোলার জেরে বাদি আনোয়ারা বেগম (৬৭) তার ছেলে এনামূল হক তুহিনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে জাহাঙ্গির খান ,আবুবক্কর খান ও তাদের পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের মালপদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এনামূল হক তুহিনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। শুক্রবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।জানা গেছে, মারধর ও হুমকির ঘটনায় মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না ওই অসহায় পরিবার। এদিকে মারধরের পরে বাদির পরিবারের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ভুক্তভোগী জানান, আমার মা আনোয়ারা বেগম (৬৭) বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে পিটিশন মামলা নং-৩৮১/২৪ দায়ের করিলে বিজ্ঞ আদালত সিরাজদিখান থানায় উক্ত মামলাটি নিয়মিত মামলা রুজু করার জন্য আদেশ প্রদান করিলে সিরাজদিখান থানার মামলা নং-০৫, তারিখ-১১/০৯/২০২৪ খ্রিঃ ধারা-৪৪৭/৩২৩/৩২৬/৩০৭/১১৪/৫০৬(২)/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয় এবং বর্তমানে তদন্তাধীন আছে। ওই মামলা দায়েরের জের ধরিয়া বিবাদী জাহাঙ্গীর খান (৫৩), রনি খান (৩০), আবু বক্কর খান মেম্বার(৫৫ দেলোয়ার খান (৬৫)সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন মিলে ২০/০৯/২০২৪ তারিখ বিকালে মালপদিয়া জামে মসজিদের সামনে মাঠে আমাদের ডেকে নিয়ে বিবাদীরা আমাকে এলোপাথারীভাবে কিল ঘুষি ও কাঠের ডাসা দিয়া আঘাত করিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম করে। তখন আমাকে বাচানোর জন্য আমার মা আনোয়ারা বেগম (৬৭) ও আমার পিতা মোঃ হোসেন মিয়া আগাইয়া আসলে তাদেরকেও এলোপাথারীভাবে কিল, ঘুষি ও লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম করে। পরবর্তীতে আমাদেরকে মসজিদের সামনে বসাইয়া রাখিয়া হুমকি দিয়ে বলে যে আমার মা যদি তাহার দায়েরকৃত মামলা তুলে না নেন তাহলে আমাদেরকে প্রানে মেরে লাশ গুম করিয়া দিবে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আগাইয়া আসিয়া আমাদেরকে উদ্ধার করে ইছাপুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।

এ ব্যাপারে মধ্যপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল করিম বলেন, তুহিনদের মারামারির কথা শুনেছিলাম। এ বিষয়ে অনেকবার মীমাংসার কথা হয়েছিল কিন্তু তারা কোর্টে মামলা করছেন শুনেছি।

সিরাজদিখান থানার এসআই মতিউর রহমান বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।