সিরাজদিখানে মাদকের ছড়াছড়ি মাসিক সভায় চেয়ারম্যানদের ক্ষোভ

প্রকাশ : 2022-08-25 15:20:56১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

সিরাজদিখানে মাদকের ছড়াছড়ি মাসিক সভায় চেয়ারম্যানদের ক্ষোভ

মুন্সিগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নেই মাদকের বিস্তার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। অবিলম্বে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে নতুন প্রজন্ম সামাজিক অবক্ষয়ের মুখে পড়বে, এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে এবং পারিবারিক কলহ ও খুনের ঘটনা বৃদ্ধি পাবে বলে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছের কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মজিবর রহমান বলেন, এক সময় ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক সেবন উচ্চবিত্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে তা হাতের নাগালে পাওয়া যাওয়ায় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত তরুণ-কিশোরদের মধ্যেও এর বিস্তার ঘটছে। রাজানগর সৈয়দপুরের ৬নং ওয়ার্ড,৮ নং ওয়ার্ড এখন গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ নেশাজাতীয় দ্রব্যের আসক্তিতে জড়িয়ে পড়ছে কিশোর, তরুণ সমাজ ।

চিত্রকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল হুদা বাবুল বলেন, চিত্রকোটের খালপাড় গোয়ালখালী, মরিচা,বরাম মাদকের ছড়াছড়ি থাকলেও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এসব অবৈধ মাদক ব্যবসা চলছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করে। স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়ে ও উঠতি বয়সের কিশোর-কিশোরী যাদের বয়স ১৪ থেকে ১৭ তারাই মাদকের প্রতি বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছে। কয়েকদিন আগে চিত্রকোট বিয়ার সালাউদ্দিনের নামে মাসিক আইন শৃংখলা মিটিংএ অভিযোগ করলেও আইনশৃক্সখলা বাহিনী তার কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

সিরাজদিখান উপজেলায় মাদকের প্রধান স্পট প্রায় ৬০টি। ভাসমান স্পটের সংখ্যা দুই শতাধিক। এ সব জায়গায় হাত বাড়ালেই ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইন ও বাংলা মদ পাওয়া যায়। মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও রিকশায় ঘুরে ঘুরে মাদকের বেচাকেনা হয়ে থাকে।

বিক্রমপুর কুঞ্জুবিহারী সরকারী কলেজের  ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সজল কুমার দত্ত জানান, গত মাসের আইনশৃঙ্খলা মিটিংএ অভিযোগ করলে স¤প্রতি বিক্রমপুর কুঞ্জুবিহারী সরকারী কলেজের  দুই বহিরাগতকে মাদকসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে কিছুদিন বন্ধ ছিল এখন আবার কলেজ এলাকায় বহিরাগতরা মাদকের কারবার চালাচ্ছে। মালখানগর,ইছাপুরা,রাজদিয়া,টেংগুরিয়াপড়া ইছাপুরা চালতাতলা দিয়ে এ অ লে মাদকের প্রবেশ ঘটে বলে স্থানীয় কয়েকটি সূত্র জানায়।

বালুচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ আওলাদ হোসেন বলেন এই ।  এই ইউনিয়নে শতাধিক স্পটে মাদকের বেচাকেনা চলে। খাসনগর,চান্দেরচর,বুড়িরটেক,কৃষ্ণনগর,আলী মার্কেট কুমড়াখালী,ভাষানচর মাদকের কেনা-বেচার অন্যতম স্পট। মাদকসেবীদের কাছে কয়েকটি স্থান মাদকের হাট নামেও পরিচিতি রয়েছে।

এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার ওসি এ কে এম মিজানুল হক বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। প্রতি মাসেই ৮-১০টি মাদক মামলা হচ্ছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কোনো কার্যক্রম না থাকায় পুলিশের ওপর সব চাপ পড়ছে।