সিরাজদিখানে চুরির অপবাদ দিয়ে যুবককে মারধর থানায় অভিযোগ

প্রকাশ : 2025-02-10 14:09:54১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

সিরাজদিখানে চুরির অপবাদ দিয়ে যুবককে মারধর থানায় অভিযোগ

 

মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে গোলাম হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক কে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের অভিযোগ উঠেছে নাজমূল হোসেন গংদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার
বয়রাগাদী ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামে। এ বিষয় সিরাজদিখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গোলাম হোসেনর স্ত্রী সাথী আক্তর। অভিযুক্তরা হলেন, জয়নাল আবেদীনের ছেলে নাজমূল হোসেন,আলী আকবর, হয়রত আরী, আসক আলী, মোঃ তুষার, শাকিল, আবুল বাশারসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৭ জন।

জানাযায়, গত ০৬/০২/২০২৫ তারিখ রাত সারে ১১ টার দিকে মামলার আসামী নাজমূল হোসেন ও আলী আকবর,হযরত আলী সহ অন্যান্য আসামীগন বাদীর ফুপুর বাড়ির সামনে আসিয়া বাদী সামনে থেকে চোর অপবাদ দিয়ে বাড়ির পার্শে জরাজীর্ণ একটি জায়গায়। আসামীগন ভিকটিম গোলাম হোসেনকে চুরির অপবাদ দিয়ে পায়ের তলায়,হাতে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যার করার উদ্দেশ্যে এলোপাথারী ভাবে মারধর করে। গোলাম হোসেনর ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে আসে, তখন আসামীগন পুলিশি ঝামেলায় গেলা মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেন। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় গোলাম হোসেন কে বাড়ীতে নিয়ে আসে ও স্থানীয় ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা করে। পরের ওই দিও রাতেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাহাকে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইছাপুরায় ভর্তি করে।

গোলাম হোসেনর স্ত্রী সাথী আক্তার বলেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে মিথ্য চুরির অপবাদ দিয়ে আমার স্বামীকে জয়নাল আবেদীনের ছেলে নাজমূল হোসেন,আলী আকবর, হয়রত আলী,আসক আলী, মোঃ তুষার,শাকিল,আবুল বাশারসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৭ জন মেরে ফেলতে চেয়েছিল। কোনো বিচার না পেয়ে আমি ৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাতে সিরাজদিখান থানায় মামলা করার জন্য লিখিত অভিযোগ করি। অভিযোগের পর থেকে প্রান নাশের হুমকি প্রদান করে আসছে অভিযুক্তরা,এমনকি আমাদের সমাজ থেকে বের করে একঘরা করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। আমি ও আমার পরিবার সদস্যরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছি,আসামিগন আমার ও আমার পরিবারের যে কোন সময় বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান প্রশাসনের নিকট। এ বিষয় অন্য অভিযুক্তদের সাথে
যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।

সিরাজদিখান থানা অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি,তদন্ত করে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কা/আ