সাহিত্যে নোবেল পেলেন নরওয়ের লেখক জন ফসি  

প্রকাশ : 2023-10-05 17:43:20১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

সাহিত্যে নোবেল পেলেন নরওয়ের লেখক জন ফসি  

 ২০২৩ সালে সাহিত্যে ১১৪তম নোবেল পুরস্কার পেলেন নরওয়ের জনপ্রিয় নাট্যকার ও লেখক জন ফসি। নাটক ও গদ্যে অনন্য ভূমিকা রাখায় তাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে ৪টায় সুইডেনের স্টকহোমে রয়্যাল সুইডিস একাডেমি তার নাম ঘোষণা করে।

নোবেল কমিটি বলছে, জন ফসি নাটক, উপন্যাস, প্রবন্ধ, কবিতা, শিশু সাহিত্য রচনা করেছেন। এছাড়াও অনুবাদে সিদ্ধহস্ত তিনি। বিশ্বের জনপ্রিয় নাট্যকারদের একজন জন ফসি। তবে গদ্যের জন্যও তিনি স্বীকৃত হয়েছেন।

সাধারণত প্রতি বছর একজন সাহিত্যিককে নোবেল পুরস্কারের জন্য চুড়ান্তভাবে মনোনীত করে নোবেল কমিটি। ইতিহাসে মাত্র চারবার এই পুরস্কার একাধিকজনের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে

নোবেলজয়ী ১১৪ জন সাহিত্যিকের মধ্যে নারীদের সংখ্যা মাত্র ১৭ জন। সবচেয়ে কম বয়সে সাহিত্যে নোবেল জয় করেছেন ব্রিটেনের ঔপন্যাসিক ও ছোট গল্পকার রুডইয়ার্ড কিপলিং। বিশ্ববিখ্যাত শিশুসাহিত্য ‘দ্য জাঙ্গল বুক’ লেখার স্বীকৃতি হিসেবে মাত্র ৪১ বছর বয়সে নোবেল জয় করেন কিপলিঙ। সবচেয়ে বেশি বয়সে সাহিত্যে নোবেল পেয়েছিলেন ব্রিটিশ-জিম্বাবুইয়ান সাহিত্যিক ডরিস লেসিং।

সাহিত্যে নোবেলজয়ীদের পদকের পাশাপাশি পুরস্কার হিসেবে নগদ ১০ লাখ ডলার প্রদান করা হয়।

চলছে অক্টোবর মাস। প্রথা অনুযায়ী প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার শুরু হয় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। গত সোমবার (২ অক্টোবর) চিকিৎসাবিজ্ঞানে, মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) পদার্থে, বুধবার (৪ অক্টোবর) রসায়নে, বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সাহিত্যে এবং শুক্রবার (৬ অক্টোবর) শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম জানা যাবে। দুদিন বিরতি দিয়ে ৯ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ীর নাম।

ডিনামাইট আবিষ্কারক সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের ১৮৯৫ সালে করে যাওয়া একটি উইল অনুযায়ী নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা হয়। প্রথম পুরস্কার দেয়া শুরু হয় ১৯০১ সালে। সেময় সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে সফল, অনন্যসাধারণ গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবকল্যাণমূলক কার্যক্রমের জন্য পাঁচটি বিষয়ে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিষয়গুলো হলো পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, সাহিত্য ও শান্তি। যদিও অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া শুরু হয় ১৯৬৯ সাল থেকে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর অর্থমূল্য বাড়ছে নোবেল পুরস্কারের। গতবারের চেয়ে এ বছরের বিজয়ীরা ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা বেশি পেতে চলেছেন। নোবেল ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ২০২৩ সালে নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য বাড়িয়ে ১ কোটি ১০ লাখ ক্রোনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।