সাম্প্রদায়িক অপশক্তি দমনে কবিতা একটি বড় অস্ত্র: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ : 2022-07-29 21:44:17১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

সাম্প্রদায়িক অপশক্তি দমনে কবিতা একটি বড় অস্ত্র: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কবিতা মানুষকে পরিশীলিত করে, মানুষের মনের দুয়ার খুলে দেয়, মানুষকে অসাম্প্রদায়িক করে তোলে। আজ যখন সমগ্র বিশ্বব্যাপী সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প; সেটি শুধু বাংলাদেশে নয়, যদি আশেপাশের দেশগুলোর দিকে তাকান, বিশ্বের দিকেও যদি তাকান। দেখবেন সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মাথা ছাড়া দিয়ে উঠেছে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে দমন করার ক্ষেত্রে কবিতা একটি বড় অস্ত্র।’ 

শুক্রবার (২৯জুলাই) বিকালে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আবৃত্তি সংগঠন 'স্বনন'র উদ্যোগে ‘কবি শ্যামসুন্দর সিকদারের কবিতার ধ্বনি স্রোতস্বিনী' শীর্ষক আবৃত্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি একথা বলেন।

মন্ত্রী আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, ‘এই আয়োজন প্রকৃতির মাঝে করতে পারলে ভালো হতো। উন্নয়নের কারণে আমরা এসির মধ্যে সকল অনুষ্ঠান করতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। যা আরও ২০ বছর আগে সম্ভব হতো না। আমরা অনেক আয়েশি হয়ে গেছি, কেউ স্বীকার করুক আর না করুক। গণতন্ত্র ও স্বাধীকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে কবিতা যে ভূমিকা রেখেছে, তা অনস্বীকার্য। আকাশ সংস্কৃতির ভয়ঙ্কর থাবা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যনের প্রসার পাড়ায় পাড়ায় কবিতা পাঠের সংস্কৃতিকে সঙ্কুচিত করেছে। উপজেলা পর্যন্ত কবিতা পাঠ ছড়িয়ে দিতে পারলে মাদকের ভয়াবহতা থেকে সমাজকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। কবিতা পাঠ জেলা ও উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। 

বিশেষ অতিথি বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, কবিতা শুধু পাঠের জন্য কিংবা নিজের উপলব্ধির জন্য অথবা শুধু নিজের বোধশক্তি জাগ্রত করার জন্যই নয়। কবিতা কিন্তু একটি বড় একটি হাতিয়ার। যদি একুশে ফেব্রুয়ারির কথা বলি তাহলে তো- আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো কবিতা পাঠ না করলেই নয়। কবিতা প্রসারে এই ধরনের আয়োজন অব্যহত রাখতে হবে। সেই আয়োজনে আপনারা সম্পৃক্ত থাকবেন, আমরা সম্পৃক্ত থাকবো। 

ডা. চক্রেশ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় উদ্বোধন করেন। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা, বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি নাসির আহমেদ ও কবি দিলারা হাফিজ।

আলোচনা সভার শুরুতে আমন্ত্রিত অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এসময় আগত অতিথিদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও স্মারক তুলে দেওয়া হয়।